আমাদের পীর ধরতে হবে কি? (Who has to obey ? for Islam)
হে ঈমানদারগণ! আনুগত্য করো আল্লাহর এবং আনুগত্য করো রসূলের আর সেই সব লোকের যারা তোমাদের মধ্যে দায়িত্ব ও ক্ষমতার অধিকারী। এরপর যদি তোমাদের মধ্যে কোন ব্যাপারে বিরোধ দেখা দেয় তাহলে তাকে আল্লাহ ও রসূলের দিকে ফিরিয়ে দাও। যদি তোমরা যথার্থই আল্লাহ ও পরকালের ওপর ঈমান এনে থাকো। এটিই একটি সঠিক কর্মপদ্ধতি এবং পরিণতির দিক দিয়ে এটিই উৎকৃষ্ট। সূরা-নিসা ৫৯ (O ye who believe!
Obey Allah and obey the Messenger and those of you who have the responsibility
and authority among you. If there is a conflict between you, then turn it back
to Allah and the Messenger. If you truly believe in Allah and the Hereafter.
This is the best way of doing it and consequently it is better. Surah Nisa 59)
এ আয়াতটি ইসলামের সমগ্র ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক জীবনের বুনিয়াদ। এটি একটি ইসলামী রাষ্ট্রের শাসনতন্ত্রেও প্রথম নম্বর ধারা। এখানে ুন¤œলিখিত মূলনীতিগুলো স্থায়ীভাবে প্রতিষ্টিত করে দেয়া হয়েছে। আমাদের কে পীর ধরতে হবে কি হবে না? আর ধরতে হলে কার কথা আমাদের মেনে চলতে হবে। তা মহান আল্লাহ এই আয়াতের মাধ্যমে বলে দিয়েছেন
একঃ ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় আসল আনুগত্য লাভের অধিকারী হচ্ছেন আল্লাহ। একজন মুসলমানের সর্বপ্রথম পিরচয় হচ্ছে সে আল্লাহর বান্দা। এরপর সে অন্য কিছু। মুসলমানের ব্যক্তিগত জীবন এবং মুসলমানদের সমাজ ব্যবস্থা উভয়ের কেন্দ্র ও লক্ষ্য হচ্ছে আল্লাহর অনুগত্য করা ও বিশ^স্ততার সাথে তাঁর নির্দেশ মেনে চলা। অন্যান্য আনুগত্য ও অনুসৃতি কেবল মাত্র তখনই গৃহীত হবে যখন তা আল্লাহর আনুগত্য ও অনুসৃতির বিপরীত হবে না। বরং তার অধীন ও অনুকূল হবে। অন্যথায় এই আসল ও মৌলিক আনুগত্য বিরোধী প্রতিটি আগুগত্য শৃংখলকে ভেঙ্গে দূওে নিক্ষেপ করা হবে। এ কথাটিকেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নি¤েœাক্ত বক্তব্যে পেশ করেছেনঃ
”¯্রষ্টার নাফরমানি করে কোন সৃষ্টির আগুগত্য করা যাবে না।
“যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করলো সে আসলে আল্লাহর আনুগত্য করলো এবং যে ব্যক্তি আমার নাফরমানি করলো সে আসলে আল্লাহর নাফরমানি করলো।”
দুইঃ ইসলামী জীবন ব্যবস্থার দ্বিতীয় ভিত্তি হচ্ছে, রসূলের আনুগত্য। এটি কোন স্বতন্ত্র ও স্বয়ংসম্পূর্ণ আনুগত্য নয়। বরং আল্লাহর আগুগত্যের এটিই একমাত্র বাস্তব ও কার্যকর পদ্ধতি। রসূলের আনুগত্য এ জন্য করতে হবে যে, আল্লাহর বিধান ও নির্দেশ আমাদের কাঝে পৌছার তিনিই একমাত্র বিশ^স্ত ও নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। আমরা কেবলমাত্র রসূলের আনুগত্য করারা পথেই আল্লাহর আনুগত্য করতে পারি। রসূলের সনদ ও প্রমাণপত্র ছাড়া আল্লাহর কোন আনুগর্ত গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আর রসূলের আনুগত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের নামান্তর। নি¤েœাক্ত হদীসে এই বক্তব্যটিই সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছেঃ
তিনঃ উপরের দু’টি আনুগত্যেও পর তাদের অধীনে তৃতীয় আর একটি আনুগত্য ইসলামী জীবন ব্যবস্থার আওতাধীনে মুসলমানদের ওপর ওয়াজিব। সেটি হচ্ছে মুসলমানদের মধ্যে থেকে ‘উলিল আমর’ তথা দায়িত্ব ও ক্ষমতার অধিকারীদের আনুগত্য। মুসলমানদের সামাজিক ও সামষ্টিক কার্যকলাপের ক্ষেত্রে দায়িত্ব সম্পন্ন ও নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তি মাত্রই ‘উলিল আমার’ এর অন্তরভুক্ত। তারা মুসলমানদের মানসিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও চিন্তাগত ক্ষেত্রে নেতৃত্বদানকারী উলামায়ে কেরাম বা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্ধ হতে পারেন, আবার দেশের শাসনকার্য পরিচালনাকারী প্রশাসকবৃন্দ হতে পারেন, অথবা আদালতে বিচারের রায় প্রদানকারী বিচারপতি বা তমাদ্দুনিক ও সামাজিক বিষয়ে গোত্র, মহল্লা ও জনবসতির নেতৃত্বদানকারী শেখ সরদার প্রধানও হতে পারেন। মোটকথা যে ব্যক্তি যে কোন পর্যায়ে মুসলমানদের নেতৃত্বদানকারী হবেন তিনি অবশ্যি আনুগত্য লাভের অধিকারী হবেন। তার সাথে বিরোধ সৃষ্টি করে মুসলমানদের সামাজিক জীবনে বাধা-বিপত্তি ও বিশৃংখলা সৃষ্টি করা যাবে না। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে, তাকে মুসলিম দলভুক্ত হতে হবে এবং আল্লাহ ও রসূলের অনুগত হতে হবে। এই আনুগত্যের জন্য এই শর্ত দু’টি হচ্ছে অপরিহার্য ও বাধ্যতামূলক। কবেলমাত্র উল্লেখিত আয়াতটির মধ্যভাগে এ সুস্পষ্ট শর্তটি সঙশ্লিষ্ট হয়নি বরং হাদীসেও নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পরিপূর্ণ ব্যাপকতার সাথে দ্ব্যর্থহীনভাবে এটি বর্ণনা করেছেন।
“নিজের নেতৃবৃন্দেও কথা শোনা ও মেনে চলা মুসলমানের জন্য অপরিহার্য, তা তার পছন্দ হোক বা না হোক, যে পর্যন্ত না তাকে নাফরমানির হুকুম দেয়া হয়। আর যখন তাকে নাফরমানির হুকুম দেয়া হয় তখন তার কিছু শোনা ও আনুগত্য করা উচিত নয়।” (বুখারী ও মুসলিম)
“আল্লাহ ও রসূলের নাফরমানির ক্ষেত্রে কোন আনুগত্য নেই, আনুগত্য করতে হবে শুধুমাত্র ‘মারূফ’ বা বৈধ ও সৎকাজে”। (বুখারী ও মুসলিম)
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “তোমাদের ওপর এমন সব লোকও শাসন কর্তৃত্ব চালাবে যাদের অনেক কথাকে তোমরা ‘মারূফ’ (বৈধ) ও অনেক কথাকে ‘মুনকার’ (অবৈধ) পাবে। এ ক্ষেত্রে যে ব্যক্তি মুনকারের বিরুদ্বে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে, সে দায়মুক্ত হয়ে গেছে। আর যে ব্যক্তি তা অপছন্দ করেছে, সেও বেঁচে গেছে। কিন্তু যে ব্যক্তি তাতে সন্তুষ্ট হয়েছে এবং তার অনুসরণ করেছে সে পাকড়াও হবে। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করেন, তাহলে এ ধরনের শাসকদের শাসনামলে কি আমরা তাদের সাথে যুদ্ধ করবো না? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জবাব দেনঃ না, যতদিন তারা নামায পড়তে থাকবে ( ততদিন তাদের সাথে যুদ্ধ করতে পারবে না) মুসলিম
এর দারা আমরা বুঝতে পারি যে ‘নামায পরিত্যাগ করা এমন একটি আলামত হিসেবে বিবেচিত হবে, যা থেকে সুস্পষ্টভাবে জানা যাবে যে, তারা আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য থেকে বের হয়ে গেছে। এ অবস্থায় তাদের রিুদ্ধে সংগ্রাম করা ন্যায়সংগত হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
‘‘ তোমাদের নিকৃষ্টতম সরদার হচ্ছে তারা যারা তোমাদেরকে ঘৃণা করে এবং তোমরা তাদেরকে ঘৃণা করো, তোমরা তাদের প্রতি লানত বর্ষণ করতে থাকো এবং তারা তোমাদের প্রতি লানত বর্ষণ করতে থাকে। সাহাবীগণ আরজ করনে, হে আল্লাহর রসূল। যখন এ অবস্থার সৃষ্টি হয় তখন কি আমারা তাদের মোকাবিলা করার জন্য মাথা তুলে দাড়াবো না? জবাব দেন ঃ না, যতদিন তারা তোমাদের মধ্যে নামায কায়েম করতে থাকবে না, যতদিন তারা তোমাদের মধ্যে নামায কায়েম কতেতে থাকবে’’
এই হাদীসটি ওপরে বর্ণিত শর্তটিকে আরো সুস্পষ্ট করে তুলে ধরেছে। ওপরের হাদীসটি থেকে ধারণা হওয়া স্বাভাবিক ছিল যে, যতদিন তারা ব্যক্তিগত জীবনে নামায পড়তে থাকবে ততদিন তাদের বিরুদ্বে বিদ্রোহ করা যাবে না। কিন্তু এই হাদীসটি থেকে একথা জানা যায় যে, নামায পড়া মানে আসলে মুসলমানদের সামাজ জীবনে নামাযের ব্যবস্থা প্রতিষ্টা করা। অর্থাৎ কেবলমাত্র তাদের নিজেদের নিয়মিতভাবে নামায পড়াটাই যথেষ্ট হবে না বরং এই সংগে তাদের আওতাধীনে যে রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে সেখানেও কমপক্ষে ‘ ইকামাতে সালাত’ তাথা নামায প্রতিষ্টার ব্যবস্থা পনা থাকা জরুরী বিবেচিত হবে। তাদের রাষ্ট ব্যবস্থা তার আসল প্রকৃতির দিক দিয়ে যে একটি ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা এটি হবে তারই একটি আলামত। অন্যথায় যদি এতটুকুও না হয়, তাহলে এর অর্থ হবে যে, তারা ইসলামী শাসন ব্যবস্তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাদের শাসন ব্যবস্থাকে উলটে ফেলার জন্য প্রচেষ্টা ও সংগ্রাম চালানো মুসলমানদের জন্য বৈধ হয়ে যাবে। একথাটিকেই অন্য একটি হাদীসে এভাবে বর্ণনা করা হয়েছেঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের থেকে অন্যান্য আরো বিভিন্ন বিষয়ের সাথে এ ব্যাপারেও অংগীকার নিয়েছেনঃ
“ আমারা আমাদের সরদার ও শাসকদের সাথে ঝগড়া করবো না, তবে যখন আমরা তাদের কাজে প্রকাশ্য কুফরী খেতে পাবো যার উপস্থিতিতে তাদরে বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে পেশ করার জন্য আমাদের কাছে প্রমাণ থাকবে।” (বুখারী ও মুসলিম)
“নিজের নেতৃবৃন্দেও কথা শোনা ও মেনে চলা মুসলমানের জন্য অপরিহার্য, তা তার পছন্দ হোক বা না হোক, যে পর্যন্ত না তাকে নাফরমানির হুকুম দেয়া হয়। আর যখন তাকে নাফরমানির হুকুম দেয়া হয় তখন তার কিছু শোনা ও আনুগত্য করা উচিত নয়।” (বুখারী ও মুসলিম)
“আল্লাহ ও রসূলের নাফরমানির ক্ষেত্রে কোন আনুগত্য নেই, আনুগত্য করতে হবে শুধুমাত্র ‘মারূফ’ বা বৈধ ও সৎকাজে”। (বুখারী ও মুসলিম)
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “তোমাদের ওপর এমন সব লোকও শাসন কর্তৃত্ব চালাবে যাদের অনেক কথাকে তোমরা ‘মারূফ’ (বৈধ) ও অনেক কথাকে ‘মুনকার’ (অবৈধ) পাবে। এ ক্ষেত্রে যে ব্যক্তি মুনকারের বিরুদ্বে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে, সে দায়মুক্ত হয়ে গেছে। আর যে ব্যক্তি তা অপছন্দ করেছে, সেও বেঁচে গেছে। কিন্তু যে ব্যক্তি তাতে সন্তুষ্ট হয়েছে এবং তার অনুসরণ করেছে সে পাকড়াও হবে। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করেন, তাহলে এ ধরনের শাসকদের শাসনামলে কি আমরা তাদের সাথে যুদ্ধ করবো না? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জবাব দেনঃ না, যতদিন তারা নামায পড়তে থাকবে ( ততদিন তাদের সাথে যুদ্ধ করতে পারবে না) মুসলিম
এর দারা আমরা বুঝতে পারি যে ‘নামায পরিত্যাগ করা এমন একটি আলামত হিসেবে বিবেচিত হবে, যা থেকে সুস্পষ্টভাবে জানা যাবে যে, তারা আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য থেকে বের হয়ে গেছে। এ অবস্থায় তাদের রিুদ্ধে সংগ্রাম করা ন্যায়সংগত হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
‘‘ তোমাদের নিকৃষ্টতম সরদার হচ্ছে তারা যারা তোমাদেরকে ঘৃণা করে এবং তোমরা তাদেরকে ঘৃণা করো, তোমরা তাদের প্রতি লানত বর্ষণ করতে থাকো এবং তারা তোমাদের প্রতি লানত বর্ষণ করতে থাকে। সাহাবীগণ আরজ করনে, হে আল্লাহর রসূল। যখন এ অবস্থার সৃষ্টি হয় তখন কি আমারা তাদের মোকাবিলা করার জন্য মাথা তুলে দাড়াবো না? জবাব দেন ঃ না, যতদিন তারা তোমাদের মধ্যে নামায কায়েম করতে থাকবে না, যতদিন তারা তোমাদের মধ্যে নামায কায়েম কতেতে থাকবে’’
এই হাদীসটি ওপরে বর্ণিত শর্তটিকে আরো সুস্পষ্ট করে তুলে ধরেছে। ওপরের হাদীসটি থেকে ধারণা হওয়া স্বাভাবিক ছিল যে, যতদিন তারা ব্যক্তিগত জীবনে নামায পড়তে থাকবে ততদিন তাদের বিরুদ্বে বিদ্রোহ করা যাবে না। কিন্তু এই হাদীসটি থেকে একথা জানা যায় যে, নামায পড়া মানে আসলে মুসলমানদের সামাজ জীবনে নামাযের ব্যবস্থা প্রতিষ্টা করা। অর্থাৎ কেবলমাত্র তাদের নিজেদের নিয়মিতভাবে নামায পড়াটাই যথেষ্ট হবে না বরং এই সংগে তাদের আওতাধীনে যে রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে সেখানেও কমপক্ষে ‘ ইকামাতে সালাত’ তাথা নামায প্রতিষ্টার ব্যবস্থা পনা থাকা জরুরী বিবেচিত হবে। তাদের রাষ্ট ব্যবস্থা তার আসল প্রকৃতির দিক দিয়ে যে একটি ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা এটি হবে তারই একটি আলামত। অন্যথায় যদি এতটুকুও না হয়, তাহলে এর অর্থ হবে যে, তারা ইসলামী শাসন ব্যবস্তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাদের শাসন ব্যবস্থাকে উলটে ফেলার জন্য প্রচেষ্টা ও সংগ্রাম চালানো মুসলমানদের জন্য বৈধ হয়ে যাবে। একথাটিকেই অন্য একটি হাদীসে এভাবে বর্ণনা করা হয়েছেঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের থেকে অন্যান্য আরো বিভিন্ন বিষয়ের সাথে এ ব্যাপারেও অংগীকার নিয়েছেনঃ
“ আমারা আমাদের সরদার ও শাসকদের সাথে ঝগড়া করবো না, তবে যখন আমরা তাদের কাজে প্রকাশ্য কুফরী খেতে পাবো যার উপস্থিতিতে তাদরে বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে পেশ করার জন্য আমাদের কাছে প্রমাণ থাকবে।” (বুখারী ও মুসলিম)
রোজা ভঙ্গের কারণ
চারঃ চতুর্থ যে মূলনীতিটি এ আয়াতটি থেকে স্থায়ী ও চুড়ান্তভাবে স্থিলীকৃত হয়েছে সেটি হচ্ছে এই যে, ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় আল্লাহর হুকুম ও রসূলের সুন্নত হচ্ছে মৌলিক আইন ও চুড়ান্ত সনদ (ঋরহধষ অঁঃযড়ৎরঃু) মুসলমানদের মধ্যে অথাবা মুসলিম সরকার ও প্রজাদের মধ্যে কোন বিষয়ে বিরোধ দেখা দিলে তার মীমাংসার জন্য কুরআন ও সুন্নতের দিকে ফিরে আসতে হবে। কুরআন ও সুন্নাত এ ব্যাপারে যে ফায়সালা দেবে তার সামনে মাথা নত করে দিতে হবে। এভাবে জীবনের সকল ব্যাপারে কুরআন ও রসূলের সুন্নতকে সনদ, চ’ড়ান্ত ফায়সালা ও শেষকথা হিসেবে মেনে নেয়ার বিষয়টি ইসলামী জীবন ব্যবস্থার এমন একটি বৈশিষ্ট্য, যা তাকে কুফরী জীবন ব্যবস্থা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে দেয়। যে ব্যবস্থায় এ জিনিসটি অপস্থিত থাকে সেটি আসলে একটি অনৈসলামী ব্যবস্থা।
এ প্রসংগে কেউ কেউ সংশয় প্রকাশ করে বলে থাকেন যে, জীবনের যাবতীয় বিষয়ের ফায়সালার জন্য কুরআন ও সুন্নতের দিকে ফিরে যাওয়া কিভাবে সম্ভব হতে পারে? কারণ মিউনিসিপ্যালিটি, রেলওয়ে, ডাকঘর ইত্যাদি অসংখ্য বিষয় সম্পর্কিত কোন নিয়ম-কানুনের উল্লেখই সেখানে নেই। কিন্তু এ সংশয়টি আসলে দীনের মূলনীতি সঠিকভাবে অনুধাবন না করার কারণে সৃষ্টি হয়েছে। একজন মুসলমানকে একজন কাফের থেকে যে বিষয়টি আলাদা ও বৈশিষ্ট মন্ডিত করে সেটি হচ্ছে, কাফের অবাধ স্বাধীনতার দাবীদার। আর মুসলমান মূলত আল্লাহর বান্দা ও দাস হবার পর তার রব মহান সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাকে যতটুকু স্বধীনতা দান করেছেন শুধুমাত্র ততটুকুই স্বধীনতা ভোগ করে। কাফের তার নিজের তৈরী মূলনীতি ও আইন-বিধানের মাধ্যমে তার যাবতীয় বিষয়ের মীমাংসা করে। এসব মূলনীতি ও বিধানের ক্ষেত্রে কোন ঐশী সমথন ও স্বীকৃতির প্রয়োজন আছে বলে সে মনে করে না এবং নিজেকে সে এর মুখাপেক্ষীও ভাবে না। বিপরীত পক্ষে মুসলমান তার প্রতিটি ব্যাপাওে সর্বপ্রথম আল্লাহ ও তাঁর নবীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম) দিকে ফিরে যায়। সেখান থেকে কোন নির্দেশ পেলে সে তার অনুসরণ করে। আর কোন নির্দেশ না পেলে কেবল মাত্র এই অবস্থায়ই সে স্বাধীনতার মূলভিত্তি একথার ওপরই স্থাপিত হয় যে, এই ব্যাপারে শরীয়াত রচয়িতার পক্ষ থেকে কোন বিধান না দেয়াই একথা প্রমাণ করে যে তিনি এ ক্ষেত্রে কর্মের স্বাধীনতা প্রদান করেছেন।
চারঃ চতুর্থ যে মূলনীতিটি এ আয়াতটি থেকে স্থায়ী ও চুড়ান্তভাবে স্থিলীকৃত হয়েছে সেটি হচ্ছে এই যে, ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় আল্লাহর হুকুম ও রসূলের সুন্নত হচ্ছে মৌলিক আইন ও চুড়ান্ত সনদ (ঋরহধষ অঁঃযড়ৎরঃু) মুসলমানদের মধ্যে অথাবা মুসলিম সরকার ও প্রজাদের মধ্যে কোন বিষয়ে বিরোধ দেখা দিলে তার মীমাংসার জন্য কুরআন ও সুন্নতের দিকে ফিরে আসতে হবে। কুরআন ও সুন্নাত এ ব্যাপারে যে ফায়সালা দেবে তার সামনে মাথা নত করে দিতে হবে। এভাবে জীবনের সকল ব্যাপারে কুরআন ও রসূলের সুন্নতকে সনদ, চ’ড়ান্ত ফায়সালা ও শেষকথা হিসেবে মেনে নেয়ার বিষয়টি ইসলামী জীবন ব্যবস্থার এমন একটি বৈশিষ্ট্য, যা তাকে কুফরী জীবন ব্যবস্থা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে দেয়। যে ব্যবস্থায় এ জিনিসটি অপস্থিত থাকে সেটি আসলে একটি অনৈসলামী ব্যবস্থা।
এ প্রসংগে কেউ কেউ সংশয় প্রকাশ করে বলে থাকেন যে, জীবনের যাবতীয় বিষয়ের ফায়সালার জন্য কুরআন ও সুন্নতের দিকে ফিরে যাওয়া কিভাবে সম্ভব হতে পারে? কারণ মিউনিসিপ্যালিটি, রেলওয়ে, ডাকঘর ইত্যাদি অসংখ্য বিষয় সম্পর্কিত কোন নিয়ম-কানুনের উল্লেখই সেখানে নেই। কিন্তু এ সংশয়টি আসলে দীনের মূলনীতি সঠিকভাবে অনুধাবন না করার কারণে সৃষ্টি হয়েছে। একজন মুসলমানকে একজন কাফের থেকে যে বিষয়টি আলাদা ও বৈশিষ্ট মন্ডিত করে সেটি হচ্ছে, কাফের অবাধ স্বাধীনতার দাবীদার। আর মুসলমান মূলত আল্লাহর বান্দা ও দাস হবার পর তার রব মহান সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাকে যতটুকু স্বধীনতা দান করেছেন শুধুমাত্র ততটুকুই স্বধীনতা ভোগ করে। কাফের তার নিজের তৈরী মূলনীতি ও আইন-বিধানের মাধ্যমে তার যাবতীয় বিষয়ের মীমাংসা করে। এসব মূলনীতি ও বিধানের ক্ষেত্রে কোন ঐশী সমথন ও স্বীকৃতির প্রয়োজন আছে বলে সে মনে করে না এবং নিজেকে সে এর মুখাপেক্ষীও ভাবে না। বিপরীত পক্ষে মুসলমান তার প্রতিটি ব্যাপাওে সর্বপ্রথম আল্লাহ ও তাঁর নবীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম) দিকে ফিরে যায়। সেখান থেকে কোন নির্দেশ পেলে সে তার অনুসরণ করে। আর কোন নির্দেশ না পেলে কেবল মাত্র এই অবস্থায়ই সে স্বাধীনতার মূলভিত্তি একথার ওপরই স্থাপিত হয় যে, এই ব্যাপারে শরীয়াত রচয়িতার পক্ষ থেকে কোন বিধান না দেয়াই একথা প্রমাণ করে যে তিনি এ ক্ষেত্রে কর্মের স্বাধীনতা প্রদান করেছেন।
৪টি মন্তব্য
yes brother
yes brother
Right Brother
Right bolesen Bhai
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন