Header Ads

রোজা কেন থাববো । রোজা ভাঙ্গার কারণ।

ইসলামের অন্যান বিধানের মাতো রোজাও পর্যায়ক্রমে ফরয হয়।



গুরুতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাই হি ওয়া সাল্লাম মুসলমানদেরক মাত্র প্রতি মাসে তিন দিন রোযা রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। রোযা ফরয ছিল না। তারপর দ্বিতীয় হিজরীতে রমযান মাসের রোযার এই বিধান কুরআনে নাযিল হয়। তবে এতে এতটুকুন সুযোগ দেয়া হয়, রোযার কষ্ট বরদাশত করারা শক্তি থাকা সত্বেও যারা রোযা রাখবেন না তারা প্রত্যেক রোযার বদলে একজন মিসকিনকে আহার করাবে। পরে দ্বিতীয় বিধানটি নাযিলণ হয়। এত পূর্ব প্রদত্ত সাধারণ সুযোগ বাতিল করে দেয়া হয় কিন্তু রোগী সুসাফিনর, গর্ভবতী মহিলা বা দুগ্ধপোষ্য শিশুর মাতা এবং রোযা রাখার ক্ষমতা নেই এমান সব বৃদ্ধদের জন্য সুযোগটি আগের মতোই বহাল রাখা হয়। পরে ওদের অক্ষমতা দূর হয়ে গেলে রমযানের যে টি রোযা তাদের বাদ গেছে সে টি পূরণ করে দেয়ার জন্য তাদেও নির্দেশ দেয়া হয়।

হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরয় করে দেয়া হয়েছে যেমন তোমাদের পূর্ববতী নবীদের অনুসারীদের ওপর ফরয করা হয়েছিল। থেকে আশা করা যায়, তোমাদের মধ্যে তাকওয়া গুণাবলী সৃষ্টি হয়ে যাবে। কতিপয় নিদিষ্ট দিনের রোযা। যদি তোমাদের কেউ হয়ে থাকে রোগগ্রস্থ অথবা মুসাফির তাহলে সে যেন অন্য দিনগুলোয় এই সংখ্যা পূর্ণ করে। আর যাদের রোযা রাখার সামর্থ আছে(এরপরও রাখে না) তারা যেন ফিদিয়া দেয়। একটি রোযার ফিদিয়া একজন মিসকিনকে খাওয়ানো। আর যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় সানন্দে কিছু বেশী সৎকাজ করে, তা তার জন্য ভালো। তবে যদি তোমরা সঠিক বিষয় অনুধাবন করে থাকো। তাহলে তোমাদরে জন্য রোযা রাখাই ভালো। সূরা বাকারা (১৮৩-১৮৪) রমযানের মাস, মাসেই কুরআন নাযিল করা হয়েছে, যা মানব জাতির জন্য পুরোপুরি হিদায়াত এবং এমন দ্বর্থহীন শিক্ষা সম্বলিত, যা সত্য-সঠিক পথ দেখায় এবং হক বাতিলের পার্থক্য সুস্পষ্ট করে দেয়। কাজেই এখন থেকে যে ব্যক্তি মাসের সাক্ষাত পাবে তার জন্য এই সম্পূর্ণ মাসটিতে রোযা রাখা অপবিহার্য এবং যে ব্যক্তি রোগগ্রস্ত হয় বা সফরে থাকে, সে যেন অন্য দিনগুলোয় রোযার সংক্ষ্যা পূর্ণ করে। আল্লাহ তোমাদের সাথে নরম নীতি অবলম্বন করতে চান, কঠোর নীতি অবলম্বন করতে চান না। তাই তোমাদেরকে এই পদ্ধতি জানানো হচ্ছে, যাতে তোমরা রোযার সংখ্যা পূর্ণ করতে পারো এবং আল্লাহ তোমাদের যে হিদায়াত দান করেছেন সে জন্য যেন তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করতে তার স্বীকৃতি দিতে এবং প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারো। সূরা বাকারা-১৮৫

দ্বিতীয় হিজরীতে বদর যুদ্ধের আগে রমযানের রোযা সম্পর্কে যে বিধান নাযিল হয়েছিল পর্যন্ত সেই প্রথমিক বিধানই বর্ণিত হয়েছে। এর পরবর্তী আয়াত এর এক বছর পরে নাযিল হয় এবং বিষয়বস্তুর সাদৃশ্যের কারণে এর সাথে সংযুক্ত করে দেয়া হয়।

সফররত অবস্থায় রোযা না রাখা ব্যক্তির ইচ্ছা প্রছন্দের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

আল্লাহ রোযা রাখর জন্য কেবল রমযান মাসের দিনগুলোকে নিদির্ষ্ট করে দেননি। বরং কোন শরীয়াত সমর্থিত ওজরের কারণে যারা রমযানের রোযা রাখা হয়েছে। মানুষকে কুরআনের যে নিয়ামত দান করা হয়েছে তার শুকরিয়া আদায় করার মূল্যবান সুযোগ থেকে যাতে কেউ বঞ্চিত না হয় তার জন্য এই ব্যবস্থা। প্রসংগে একথাটি অবশ্যি অনুধাবন করতে হবে যে, রমযানের রোযাকে কেবলমাত্র তাকওয়ার অনুশীলনই গণ্য করা হয়নি বরং কুরআনের আকারে আল্লাহ যে বিরাট মহান নিয়ামত মানুষকে দান করেছেন রোযাকে তার শুকরিয়া আদায়ের মাধ্যম হিসেবেও গণ্য করা হয়েছে। আসলে বুদ্ধিমান, জ্ঞানী সুবিবেচক ব্যক্তির জন্য কোন নিয়ামতের শুকরিয়া আদায়ের এবং কোন অনুগ্রহের স্বীকৃতি প্রদানের জন্য সেই নিয়ামতটি দান করা হয়েছিল তাকে পূর্ণ করার জন্য নিজেকে সর্বাতœকভাবে প্রস্তুত করা। কুরআন আমাদের এই উদ্দেশ্যে দান করা হয়েছে যে, আমারা এর মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথ জেনে নিয়ে সে পথে চলবো এবং অন্যদেরকেও সে পথে চালাবো। এই উদ্দেশ্যে আমাদের তৈরি কারা সর্বোতœ মাধ্যম হচ্ছে রোযা। কজেই কুরআন নাযিলের মাসে আমাদের রোযা রাখা কেবল ইবাদাত নৈতিক অনুশীলনই নয় বরং সংগে কুরআন রূপ নিয়ামাতের যথার্থ শুকরিয়া আদায়ও এর মাধ্যমে সম্ভব হয়।

রোজা ভাঙ্গার কারণ t


রোযার সময় রাতের বেলা স্ত্রীদেও কাছে যাওয়া তোমাদের জন্য হালাল করে দেয়া হয়েছে। তারা তোমাদের পোশাক এবং তোমরা তাদের পোশাক। আল্লাহ জানতে পেরেছেন, তোমরা চুপি চুপি নিজেরাই নিজেদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছিলে। কিন্তু তিনি তোমাদের অপরাধ মাফ করে দিয়েছেন এবং তোমাদের ক্ষমা করেছেন। এখন তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে রাত্রিবাস করো এবং যে স্বাদ আল্লাহ তোমাদের জন্য বৈধ করে দিয়েছেন তা গ্রহণ করো। আর পানাহার করতে থাকো, যতক্ষণ না রাত্রির কালো রেখার বুক চিরে প্রভাতের সাদা রেখা সুস্পষ্টভাবে দুষ্টিগোচর হয়। তখন এসব কাজ ত্যাগ করে রাত পর্যন্ত নিজের রোযা পূর্ণ করো। আর যখন তোমরা মসজিদে ই’তিকাফে বসো তখন স্ত্রীদের সাথে সহবাস করো না। এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত মীসারেখা, এর ধারে কাছেও যেয়ো না। এভাবে আল্লাহ তাঁর বিধান লোকদের জন্য সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন, আশা করা যায় এর ফলে তারা ভুল কর্মনীতি গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবে।” সূরা বাকাবা-১৮৭

রোজা ভাঙ্গার কারণ টি ক্রাটাগরীতে ভাগ করা যায়।


১। শরীরের ভিতরে কিছু ঢুকালে

) পানাহার কারা।
) এমন কোন কাজ যা পানাহারের পর্যায় পরে যায়।
) ওশুধ খাওয়া।
) ইনজেকশন নেয়া। যদি ইনজেকশনের মাধ্যমে জীবনী শক্তি বৃদ্ধি করার জন্যে কিংবা অন্য কোন কারণে শরীরে ওষুধ প্রবেশ করানো হয় তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। যদি অবস্থা এমন হয় যে ইনজেকশনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ে ওষুধ নিতেই হবে নয়তো বড়সড় কোন সমস্যা হয়ে যাবে সেক্ষেত্রে কথা ভিন্ন। ব্যাপারে একাধিক মতামত রয়েছে। ইনজেকশন যদি এমন হয় যে তাহলে শরীরের বল বৃদ্ধি করবে (যেমন গ্লুকোজ) তাহলে সে জাতীয় ইনজেকশন ব্যবহারে রোজা ভেঙ্গে যাবে। কারণ খাবার যেই কাজ করে এক্ষেত্রে অনেকটা একই কাজ করছে এটি। তবে শুধুমাত্র চিকিৎসার জন্যে যদি ইনিজেকশন দেয়া হয় (যেমন ইনসুলিন, পেনিসিলিন) তাহলে রোজা ভাঙ্গবে না।

২। শরীরের ভিতর থেকে কিছু বের হওয়া।

১। সহবাস করলে।
২। হস্তমৈথুন বা স্বেচ্ছায় কোনো কিছুর সাহায্যে উত্তেজনার সঙ্গে বীর্য বের করলে।
৩। মহিলাদের ঋতুস্রাব হলে কিংবা বাচ্চা প্রসবোত্তর সময়ে স্রাব হলে রোজা ভেঙ্গে যাবে
৪। রোজা রেখে ইচ্ছাকৃত ভাবে মুখ ভরে বমি করলে।
৫। শরীর থেকে রক্ত বের করে নেয়া।

কোন মন্তব্য নেই

RBFried থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.