আল্লাহ্/ঈশ্বর সম্পর্কে ধারনা The idea about Allah / God
সূরা আল-ইমরানের ৬৪ নম্ব আয়াতে উল্লেক্ষ আছে, হে আহলি কিতাব । এসো এমন একটি কথার দিকে, যা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে একই ধরনের, তা হচ্ছেঃ আমরা আল্লাহ্ ছাড়া আরোর বন্দেগী ও দাসত্ব করবো না। তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবো না। যদি তার এ দাওয়াত গ্রহণ কওে প্রস্তুত না হয় তাহলে পরিষ্কার বলে দাওঃ তোমরা সাক্ষী থাকো, আমরা অবশ্যি মুসলিম( একমাত্র আল্লাহর বন্দেগী ও আনুগত্যকারী) যদিও এই আাতে আহলি কিতাবদের বুঝানো হয়েছে কিন্তু এর দ্বারা বিভিন্ন ধর্মেকে বুঝানো হয়েছে। (In Surah Al-Imran's 64th verse, there is a revelation, O Ahli Kitab. Let's talk about a similar thing between us and you, that is, we will not worship other than Allah and serve Him. Do not associate anything with Him. If you are not prepared to accept this invitation, then say clearly: You bear witness that we are Muslims (worshiping and worshiping Allah alone), although the meaning of the scriptures of the People of the Book, but it implies different religions)
যদি আপনি কোন ধর্মকে বুঝতে চান বা অন্য কোন ধর্মের ইস্বর সম্পর্কে বুঝতে চান, সেই ধর্মর অনুসারী দের দেখে তাহলে প্রাইয়ি দেখা যায়, তারাই হয়তো ধর্ম সম্পর্কে কিছুই জানে না । অথবা তাদের ইস্বর সম্পর্কে জানে না। এটা ঠিক হবে না যদি আপনি, সেই ধর্মের অনুসারিদের রীতি নীতি আচার অনুষ্ঠান পর্যবেক্ষণ করেন, কারন অনেক আচার অনুষ্ঠান রীতি নীতি সেই ধর্মের অংশ নাও হতে পারে, আর তাই আপনি যদি কোন ধর্ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সেই ধর্মের ধর্মগ্রন্থগুলো তার ইস্বর সম্পর্কে কি বলছে। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মা এবং দাদা কখন মারা যায়
হিন্দু ধর্ম
হিন্দু শব্দটার একটি ভৌগলিক বিশেষত্য রয়েছে এবং এই শব্দটা দিয়ে বুঝানো হয়েছে যারা সিন্দু নদের উপারে বসবাস করে অথবা সিন্দু নদের অববাহিকায় বসবাস করে। বেশির ভাগ ঐতিহাসিক গণ বলে যে এই হিন্দু শব্দটা প্রথম ব্যাবহার করেছিল আরবরা কেউ কেউ বলে যে শব্দটা ব্যাবহার করেছিল ফারসিয়েনরা যারা ইন্ডিয়ায় এসেছিল হিমালয়ের উত্তর পঞ্চিম দিক থেকে। ইনসাইক্লোপিডিয়া অফ রিলিজিয়ান এন্ড এথিস্কসের ৬ নম্বর ভলিয়মের ৬৯৯ রেফাবেন্স অনুযায়ী মুসলমানেরা ইন্ডিয়ায় আসার আগে হিন্দু শব্দটা ইন্ডিয়ার কোন সাহিত্যে কখনো ব্যবহার করা হয়নি, আর পন্ডিত জহুরুলাল নেহেরুর মতে তিনি তার বই ডিসকভারী অফ ইন্ডিয়াতে নিখেছেন ৭৪ ও ৭৫ পৃষ্ঠায়, যে হিন্দু শব্দটা প্রথমবার ব্যাবহার করা হয়ে ছিল ৮ম শ^তাবদীতে তান্ত্রিক দের বুঝাতে, আর এই শব্দটা দিয়ে বুঝানো হত এক দল মানুষকে কোন ধর্মকে নয়, ধর্মের সাথে এই শব্দটা অনেক পরে যোগ কারা হয়েছে এই কথায় বলেছেন পন্ডিত জহুরুলাল নেহেরু। হিন্দুইজম শব্দটা এসেছে হিন্দু শব্দ থেকে আর এই শব্দটা ব্যবহার করে ছিল ইংরেজ লেখকরা সেই ১৯ শতকে তারা ইন্ডিয়ার অধিভাষীর ধর্মবিশ^াসকে বুঝাতে এই শব্দটা ব্যবহার করে ছিল, নিউ এনসাই-ক্লোপিডিয়ার ব্রিটানিকার ২০ নম্বর ভলিয়মের ৫৮১ নম্বর রেফারেন্স অনুযায়ী হিন্দুইজম শব্দটা ব্যবহার করেছিল বৃটিস লেখকরা, আর সেটা ১৮৩০ সালে ইন্ডিয়ার অধিভাষীদের ধর্মবিশ^াস কে বুঝানোর জন্য যারা খৃষ্টান হয়েছেন তারা বাদে। আর ঠিক এই কারনে বেশির ভাগ হিন্দু পন্ডিতরা বলেন হিন্দুয়িজম শব্দটা আসলে সঠিক নয় সঠিক শব্দটা হবে বেদান্তবাদী অর্থাৎ বেদের অনুসারী। আমাদের আসল শত্রু কে?
খ্রস্টি র্ধম
খ্রিস্ট ধর্ম (প্রাচীন গ্রিক: Χριστός
খ্রিস্তোস) হচ্ছে একেশ্বরবাদী ধর্ম। নাজারাথের যীশুর জীবন ও শিক্ষাকে কেন্দ্র করে এই ধর্ম বিকশিত হয়েছে। খ্রিস্টানরা মনে করেন যীশুই মসীহ এবং তাঁকে যীশু খ্রীস্ট বলে ডাকেন। খ্রিস্ট ধর্মের শিক্ষা নতুন টেস্টামেন্ট বা নতুন বাইবেলে এ গ্রন্থিত হয়েছে। এই ধর্মাবলম্বীরা খ্রিস্টান পরিচিত। তারা বিশ্বাস করে যে যীশু খ্রীস্ট হচ্ছেন ঈশ্বরের পুত্র।
২০০১ সালের তথ্য অনুযায়ী সারা বিশ্বে ২.১ বিলিয়ন খ্রীস্ট ধর্মের অনুসারী আছে সে হিসেবে বর্তমানে এটি পৃথিবীর বৃহত্তম ধর্ম ইউরোপ, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, সাব-সাহারান আফ্রিকা, ফিলিপিন্স দ্বীপপুঞ্জ ও ওশেনিয়া অঞ্চলে খ্রীস্ট ধর্ম প্রধান ধর্ম হিসেবে পালিত হয়।
প্রথম শতাব্দীতে একটি ইহুদি ফেরকা হিসেবে এই ধর্মের আবির্ভাব। সঙ্গত কারণে ইহুদি ধর্মের অনেক ধর্মীয় পুস্তক ও ইতিহাসকে এই ধর্মে গ্রহণ করা হয়েছে। ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ তানাখ বা হিব্রু বাইবেলকে খ্রিস্টানরা পুরাতন বাইবেল বলে থাকে। ইহুদি ও ইসলাম ধর্মের ন্যায় খ্রিস্ট ধর্মও আব্রাহামীয়।
আসুন এবার বুঝার চেষ্টা করি, ইসলাম শব্দটা দিয়ে কি বুঝায়, ইসলাম শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে আরবী শব্দ সালাম থেকে, যার অর্থ শান্তি এই শব্দটা আবার এসেছে আরবী শব্দ সিম থেকে যার অর্থ নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে সমপর্ণ করে দেয়া এক কথায় ইসলাম অর্থ নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে সমপর্ণের মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা, আর এই ইসলাম শব্দটার উল্লেক্ষ রয়েছে পবিত্র কুরানের ভিবিন্ন জায়গায় এবং স্হি হাদিসেও, যেমন উলেক্ষ আছে পবিত্র কুরআনের সূরা আল-ইমরানের ১৯ এবং ৮৫ নম্বর আয়াতে। (১৯ নিঃসন্দেহে আলাহর নিকট প্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম। এবং যাদের প্রতি কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর প্রতি কুফরী কওে তাদের জানা উচিত যে নিশ্চিতরূপে আল্লাহ হিসাব গ্রহণে অত্যন্ত দ্রƒত। ৮৫ যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, ক¯িœণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত।) যে ব্যাক্তি তার নিজের ইচ্ছাকে সর্ব শক্তিমান আল্লাহর কাছে সমর্পণ করে শান্তি অর্জন করে সেই সত্তিকার মুসলিম আর এই মুসলিম শব্দটা পবিত্র কুরানে ভিবিন্ন জায়গায় আছে এবং আছে সহি হাদিসেও যেমন উলেক্ষ আছে সূরা আল-ইমরানের ৬৪ নং আয়াতে “বলোঃ হে আহলি কিতাব! এসো এমন একটি কথার দিকে, যা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে একই ধরনের। তা হচ্ছেঃ আমরা আল্লাহ ছাড়া কারোর বন্দেগী ও দাসত্ব করবো না। তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবো না। আর আমাদরে কেউ আল্লাহ ছাড়া আর কাউকেও নিজের রব হিসেবে গ্রহণ করবে না। যদি তারা এ দাওয়াত গ্রহণ করতে প্রস্তুত না হয় তাহলে পরিষ্কার বলে দাওঃ তোমরা সাক্ষী থাকো আমরা অবশ্যি মুসলিম ( একমাত্র আল্লহর বন্দেগী ও আনুগত্যকারী”)। একটা ভুল ধারনা পচলিত আছে যে ইসলাম একটা নতুন ধর্ম যে ধর্ম পৃতিবীতে এসেছে ১৪ শত বৎসর আগে আর মহানবী মোহাম্মদ (সাঃ) হলেন এই ধর্মের প্রবর্তক, সত্তি বলতে ইসলামের উৎপত্তি হয়েছে সৃষ্টির প্রথম লগনে যখন মানুষ পৃথিবীতে পা রেখে ছিল। আর মহানবী (সাঃ) ইসলাম ধর্মের প্রবর্তন করেননি বরং তিনি হলেন সর্বশেষ ও চুরান্ত নবী যাকে আল্লাহ পাঠিয়েছেন সর্বশেষ ও চুরান্ত নবী করে। আসুন আমারা দেখার চেষ্টা করি এই মহান ধর্ম গ্রন্থ গুলি কি কি?
**** হিন্দু ধর্মের পবিত্র ধর্ম গ্রন্থগুলি প্রধানত দুইভাবে বিভক্ত, স্মৃতি এবং শ্রæতি। শ্রæতি শব্দ সংস্কৃত যার অর্থ উপলব্দী করা হয়েছে যে টা বুঝে নেয়া হয়েছে যেটা প্রকাশ করা হয়েছে। এই শ্রæতি গুলিকে বলা হয় ইস্বরের বানী আর এগুলি স্মৃতি চেয়ে বেশি পবিত্র শ্রæতি কে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. বেদ
২. উপনিশদ
আসুন আমরা ইসলাম ধর্মের গ্রন্থগুলি নিয়ে আলোচনা করি, ইসলাম ধর্মের গ্রন্থ পবিত্র কুরআন, কুরআন হল সর্বশেষ আসমানী কিতাব পবিত্র কুরানের সূরা রাদের ৩৮ নাম্বার আয়াতে উলেক্ষ আছে যে ( তুমাদের পূর্বে আমি অনেক রাসূল পেরন করিয়াছি) পৃতিবীতে সর্বশক্তিমান আল্লাহর বেশ কিছু আসমানী কিতাব নাজিল হয়েছে, কুরানে ৪ টি কিতাবের কথা উল্লেক্ষ্য আছে, তাওরাত, যবুর, ইঞ্জিল, ও কুরআন ।
এই কিতাব শুধু মুসলমানদের জন্য নয় শুধু আরবদের জন্য নয় এই কিতাব সমর্গ্র মানব জাতীর জন্য সূরা ইব্রাহিমের ০১ ও ৫২ নং আয়াতে সূরা বাকারার ৪১ নং আয়তে।
“ হে মুহাম্মাদ। এটি একটি কিতাব, তোমার প্রতি এটি নাযিল করেছি, যাতে তুমি লোকদেরকে অন্দকার থেকে বের করে আলোর মধ্যে নিয়ে আসো তাদের রবের প্রদত্ত সুযোগ ও সামর্থের ভিত্তিতে, এমন এক আল্লাহর পথে। এটি একটি পয়গাম সব মানুষের জন্য এবং এটি পাঠানো হয়েছে এ জন্য যাতে এর মাধ্যমে তাদেরকে সতর্ক করা যায় এবং তারা জেনে নেয় যে, আসলে আল্লাহ্ মাত্র একজনই আর যারা বুদ্ধি-বিবেচনা রাখে তারা সচেতন হয়ে যায়”। সূরা ইব্রাহিম ০১-৫২। “ আর আমি যে কিতাব পাঠিয়েছি তার ওপর ঈমান আন। তোমাদের কাছে আগে থেকেই যে কিতাব ছিল এটি তার সত্যতা সমথনকারী। কাজেই সবার আগে তোমরাই এর অস্বীকারকারী হয়ো না। সামান্য দামে আমার আয়াত বিক্রি করো না। সূরা বাকারার ৪১
এর পর আছে ছহি হাদিস, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যা করেছেন, যা আমাদের করতে বলেছেন, যা করতে নিষেদ করেছেন। হাদিস হল কুরানের সাহয্য কারী গ্রন্থ, হাদসি কখনো কুরআনের বিরুদ্ধে যাবে না। এই গুলো হল পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ, এবা আলোচনা করবো।
প্রবিত্র ধর্ম গ্রন্থগুলির আলোকে ইস্বর সর্ম্পকে ধারনা, আমি কি বলি বা অন্য কেউ কি বলে কারো কথাই গ্রহণ যোগ্য হবে না, যতক্ষণ না তা ধর্ম গ্রন্থের সাথে মিলে যায়। যেসব কথা ধর্ম গ্রন্থের সাথে মিলে যায় সেগুলো গ্রহণ করবো আর যে গুলো না মেলে সেগুলো বাদ দিয়ে দেব।
যদি আপনি সাধারন হিন্দু বলেন যে আপনি কত জন দেবতা কে বিশ^াস করেন, কেউ বলবে এক জন কেউ বলবে দুই জন কেই বলবে হাজার জন কেউ বলবে তেত্রিশ কোটি দেবতায়ও বিশ^াসী, আর যদি আপনি কোন জ্ঞানী হিন্দু কে বলেন যার হিন্ধু ধর্ম সর্ম্পকে ভাল ধারণা আছে, সে বলবে একজন হিন্দুর উচিত এক ইশ^ররের উপর বিশ^াস স্থাপন করা এবং এক ইশ^রের পূজা করা।
ইসলাম বাদে ভিবিন্ন ধর্মের অনুসারীরা বিশ^াস করে প্যানথয়িজন সব কিছু ¯্রষ্টা, তারা বিশ^াস করে গাছ হল ¯্রষ্টা সূর্য হল ¯্রষ্টা চাঁদও ¯্রষ্টা মানুষ জাতিও ¯্রষ্টা এবং কি সাপ ও ¯্রষ্টা, আর মুসলমানেরা বলে বস কিছু ¯্রষ্টার ¯্রষ্টা শব্দের পরে একটা ‘র’ আছে, সব কিছুর মালিক ¯্রষ্টা, গাছের মালিক ¯্রষ্টা, সূর্যের মলিক ¯্রষ্টা, চাঁদের মালিক ¯্রষ্টা, মানব জাতির মালিক ¯্রষ্টা, সাপের মালিকও ¯্রষ্টা। তাহলে প্রধান পার্থক্য সাধারন হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে, একজন হিন্দু বলবে সবকিছু ¯্রষ্টা, আর মুসলমান বলবে ¯্রষ্টার, ¯্রষ্টা শব্দের পরে একটা ‘র’ প্রধান পার্থক্য হল ‘র’ অক্ষর টি, আমরা যদি এই ‘র’ অক্ষরটির পার্থক্য দূর করতে পারি তাহলে আমাদের এই দুটি মহান ধর্ম এক হয়ে যাবে। আমরা এটা কিভাবে করবো প্রবিত্র কুরআনি বলে দিয়েছেন “এসো তোমাদের ও আমাদের মধ্যেকার একটি সাধারণ বিষয়ে। প্রথম সাধারণ বিষয় হলো আমরা আল্লাহ ছাড়া আর কারো ইবাদত করবো না” সূরা আল-ইমরানঃ ৬৪।
আমরা হিন্দু ও মুসলিমদের ধর্ম গ্রন্থ বিশ্লেষণ করে তা থেকে উভয়ের সামঞ্জস্যগুলো বের করার চেষ্টা করি।
আয়ুর্বেদ ৩২ঃ৩ শ্লোকে বলেছেন “ তার কোন প্রতিরূপ বা প্রতিমা নেই।” ৪০ঃ৮ শ্লোকে বলেছেন “ যেহেতু তিনি কিছু থেকে, কারো থেকে জন্ম নেননি, তাই তিনি আমাদের উপসনার উপযুক্ত।” ৪০ঃ৯ শ্লোকে বলেছেন “ তারাই অন্ধকারে প্রবেশ করে যারা প্রকৃতিক বস্তুর উপাসনা করে; যেমন বায়ু, পানি, আগুন ইত্যাদি। তারা গভীর অন্ধকারে ডুবে যায় যারা ‘শম্ভূতি’র উপাসনা করে। ‘শম্ভূতি’ হলো সৃষ্ট বস্তু যেমন টেবিল, চেয়ার, প্রতিমা, ইত্যাদি। উপনিষদঃ হিন্দুরা উপনিষদকেও পবিত্র গ্রন্থ বলে মানে। উপনিষদে নি¤œাক্ত শ্লোকগুলো দেখুনঃ
১.“একম ইভাদ্বিতীয়ম” অর্থাৎ ‘তিনি এক, দ্বিতীয় ছাড়া,। (সানদগী উপনিষদ ৬ঃ২ঃ১)
২. “তার কোন মতাপিতা নেই, কোন প্রভুও নেই”
(ঝাবঃধংধ াধঃধৎধ ঈশকলযি) ২য় খন্ড পৃ. ২৬৩)
৩. উপনিষদের নি¤েœাক্ত শ্লোকগুলোও লক্ষ্য করুনঃ
“তাঁর মত কিছু নেই যার নাম মহিমময় উজ্জ্বল।”
উপরের শ্লোকগুলোর সাথে পবিত্র কুরআনের আয়াতগুলো তুলানা করে দেখা যাক।
“তার সদৃশ কিছু নেই কেউ নেই” সূরা ইখলাস-৪।
“কোন কিছুই এমন নেই যা তাঁর মত হতে পারে তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা”। সূরা শূরাঃ১১
৪. উপনিষদের নি¤েœাক্ত শ্লোকগুলো আল্লাহর প্রকৃত রূপ সম্পর্কে ধারণ করতে মানুষের অক্ষমতা প্রকাশ করেছেঃ
“তাঁর রূপ দেখা যায় না, কেউ তাঁকে চোখে দেখেনি; যারা হৃদয় ও আতœা দ্বারা তাঁকে উপলব্ধি করে, তাঁর উপস্থিতি অন্তরে অনুভব করে, তারাই অমরত্ব লাভ করে।’’ (ঝাবঃধং াধঃধৎধ উপনিষদ, ৪ঃ২০) পবিত্র কুরআনে উপরের ধারণাকে নিচের আয়াতে প্রকাশ করেঃ
“দৃষ্টিসমূহ তাঁকে পরিবেষ্টন করতে পারে না। অবশ্য তিনি দৃষ্টিসমূহকে পরিবেষ্টন করে আছেন। তিনি সূক্ষèদর্শী সুবিজ্ঞ।” সূরা আন-আমঃ ১০৩.
ইয়াহূদী ধর্মেগ্রন্থে আল্লাহ সম্পর্কে ধারণা
ইয়াহূদী ধর্ম প্রধান সেমিটিক ধর্মসমূহের অন্যতম। এর অনুসারীদেরকে ইয়াহূদী নামে অভিহিত করা হয়। তারা নিজেদেরকে মূসা (আ) প্রচারিত ধর্মে বিশ^াসী বলে দাবী করা হয়। ১. নিচের শ্লোকটি বাইবেল“পুরাতন নিয়ম’’ এর ‘ডিওটানেমী’ অধ্যায়ে উদ্ধৃত মূসা (আ)-এর উপদেশনামা থেকে গৃহীত। “শামা ইজরাঈলিউ আদোনাই ইলা হাইনো আদনা ইশাদ।” এটা হিব্রæ ভাষায় বাইবেল পুরাতন নিয়ম থেকে উদ্ধৃত শ্লোক। এর অর্থ “ ইসরাঈলীরা শোন আমাদের প্রভু ইশ^ও একক।” (বাইবেল, ডিওটারেনমী ৬ঃ৪)
২. বাইবেলের “ঈসাইয়্যাহ” অধ্যায়ে উল্লিখিত নি¤েœাক্ত শ্লোকগুলো। লক্ষ্য করুন।
“ আমি, আমিই একমাত্র প্রভু এবং আমি ছাড়া অন্য কোন ত্রাণকর্তা নেই।” ( বাইবেল, ঈসাইয়্যাহ ৪৩ঃ১১)
৩. আমি-ই প্রভু, এবং এ ছাড়া আর কেউ নেই, আমি ছাড়া আর কোন ইশ^র নেই।” ( বাইবেল ঈসাইয়াহ ৪৫ঃ৫)
৪. আমি-ই ইশ^র এবং এ ছাড়া আর কেউ নেই; আমি-ই ইশ^র এবং আমার সদৃশ কেউ নেই।” ( বাইবেল, ঈসাইয়াহ ৪৬ঃ৯)
৫. ইয়াহূদী ধর্মে প্রতিমা পূজাকে নিন্দা করা হয়েছে- “ আমার পাশাপাশি তুমি অন্য কাউকে ইশ^র হিসেবে গ্রহণ করবে না; তুমি নিজের জন্য কোন প্রতিমা তৈরি করবে না; অথাবা ঊর্ধ্বকাশে অথবা পৃতিবীতে আছে অথবা ভূগর্ভে জলে আছে এমন কোন কিছুর সদৃশ স্থির করবে না; তুমি তাদের সামনে বিনীত হবে না, আর না তাদের দর্শন করবে; কেননা আমি-ই একমাত্র প্রভু, তোমার ইশ^র, ঈর্ষাপরায়ণ ইশ^র.....।” (বাইবেল এক্রোাডাস ২০ঃ৩-৫)
৬. বাইবেল ডিওটারোনমীতে একই কথা পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।
খ্রিস্টধর্মগ্রন্থে ইশ^রের ধারণা
খ্রিস্টধর্মে ইশ^রের ধারণা সম্পর্কে আলচনা করার আগে ইসলামে ঈসা (আ) এর মর্যদা পরীক্ষা করে দেখা যাক।
১. অখ্রিস্টান ধর্মগুলোর মধ্যে ইসলাম-ই একমাত্র ধর্ম যাতে ঈসা (আ) এর উপর বিশ^াস স্থাপন ঈমান তথা বিশ^াসের মৌলিক নীতি হিসেবে মনে করা হয়। ঈসা (আ) কে নবী হিসেবে বিশ^াস না করে কোন মুসলিম-ই পুরোপুরি মুসলমান হতে পারে না।
২. আমরা বিশ^াস করি যে, তিনি আল্লা তায়ালার একজন মর্যাদাশালী নবী ছিলেন।
৩. আমরা বিশ^াস করি যে, তিনি কোন পুরুষের সং¯্রব ছাড়া অলৌকিকভাবে পিতৃবিহীন জন্মগ্রহণ করেছেন, যা আধুনিককালের অনেক খ্রিস্টান মানতে চান না।
৪. আমারা বিশ^াস করি যে, আল্লাহর হুকুমে তিনি মৃতকে জীবন দান করতে পারতেন।
৫. আমরা বিশ^াস করি যে, তিনি আল্লাহর হুকুমে জন্মান্ধকে দৃষ্টিদান করতে এবং কুষ্ঠ রোগীকে আরোগ্য দান করতে সক্ষম ছিলেন।
কেই প্রশ্ন করতে পারে যে, মুসলিম ও খ্রিস্টান উভয়ই যদি ঈসা (আ) কে ভালবাসে ও সম্মান করে, তাহলে উভয়ের মধ্যে পার্থক্য কোথায়? ইসলাম ও খ্রিস্টধর্মের মর্ধে প্রধান পার্তক্য হচ্ছে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা ঈসা (আ) কে ঐশ^রিক গুণসম্পন্ন সত্তা ও উপাস্যের যোগ্য মনে করে, যা ইসলাম স্বীকার করে না।
ঈসা (আ) কখনো নিজেকে ইশ^র বলে দাবী করেন নি।
বাইবেলে আছেঃ
“ আমার পিতা আমার চেয়ে মহান।” (যোহন ১৪ঃ২৮)
“ আমার পিতা সকলের চেয়ে মহান।” ( যোহন ১০ঃ২৯)
“ আমি সকল মন্দ আতœাকে তাড়াই ইশ^রের শক্তিতে।” ( মথি ১২ঃ২৮)
“ ইশ^রের সাহায্যেই আমি মন্দ দূর করি।” (লূক ১১ঃ২০)
“ আমি নিজ থেকে কিছুই করতে পারি না; আমি যেমন শুনি তেমন-ই বিচার করি এবং আমার বিচার সঠিক; কেননা আমি নিজের ইচ্ছায় কিছু করতে চাই না, বরং যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, সেই পিতার ইচ্ছা অনুসারেই আমি কাজ করতে চাই।”
ইসলাম ধর্মে আল্লাহ্ সম্পর্কে ধারণা
ইসলাম একটি সেমিটিক ধর্ম। সারা বিশে^ ইসলামের একশত বিশ কোটি অনুসারী রয়েছে। ‘ইসলাম’ অর্থ আল্লাহর ইচ্ছাতে আতœসমর্পণ । মুসমান কুরআন-কে আল্লাহর বাণী হিসেবে গ্রহণ করে, যা মুহাম্মদ (সা) এর উপর নাযিল করা হয়েছিল। ইসলাম বলে যে, আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে একত্ববাদেও দাওয়াত এবং মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের জবাবদিহীতার বার্তা নিয়ে তাঁর দূত এবং নবীদেরকে প্রেরণ করেছেন। সতরাং ইসলাম অতীতকালের সকল নবী-রাসূল তথা আদম (আ) থেকে নিয়ে যত নবী-রাসূল দুনিয়াতে এসেছেন তাদের সকলের উপর বিশ^াস স্থাপন করাকে তার বিশ^াসের মূলনীতি হিসেবে নির্ধারণ করেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন নূহ (আ), ইবরাহীম (আ), ইসমাঈল (আ), ইসাহাক (আ), ইয়াকুব (আ), মূসা (আ), দাউদ (আ), ইয়াহইয়া (আ), ঈসা (আ), এবং অন্যান্য সকল আম্বিয়ায়ে কিরাম (আ)।
ইশ^রের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ ইশ^র তথা আল্লাহর সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেয়া হয়েছে কুরআনে মজীদের ১১২ নং সূরা ইখলাসের চারটি আয়াতের মাধ্যমে।
১. “বলুন, তিনি আল্লাহ একক (অদ্বিতীয়)”।
২. আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষি নয়।
৩. তিনি কাউকে জন্মদান করেন নি, কারো থেকে তিনি জন্মগ্রহণ করেন নি।
৪. আর তাঁর সমতুল্য কেউ নেই। ( সূরা ইখলাস ১ঃ৪)
এ সূরায় উল্লিক্ষিত ‘আস-সামাদ’ আরবী শব্দটির যথার্থ অনুবাদ একটু কঠিন। যা সাধারন মানুষের বুঝা একটি জটিল। তবে এর মূল অর্থের কাছাকাছি অর্থ হলো “পরম অস্তিত্ব। এটা একমাত্র আল্লাহর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, কেননা অন্য সকল কিছুর অস্তিত্ব অস্থায়ী ও শর্তসাপেক্ষ। এ শব্দ দ্বারা এ অর্থও প্রকাশিত হয় যে, আল্লাহ কোন ব্যক্তি বাব বস্তুর উপর নির্ভরশীল নন বরং সকল ব্যক্তি বা বস্তু তাঁর উপরই নির্ভরশীল এবং তাঁরই মুখাপেক্ষী।
“ইশ^র” কখনো অন্যায় ও তাঁর পক্ষে অশোভন কাজ করা সম্ভব নয়।
আল্লাহ আল-কুরআনে ঘোষণা করেছেনঃ
“ আল্লাহ কখনো এক বিন্দু পরিমাণও যুলুম করেন না” (সূরা নিসাঃ ৪০) ঈশ^র যদি চান অত্যাচারী হতে পারেন, কিন্তু ঈশ^র যখনই অন্যায়কারী হবেন সেই মুহূর্তেই ঐশ^রিকতা হারাবেন।
ঈশ^র ভুলে যেতে পারেন না, তিনি কখনো ভুল করতে পারেন না।
ঈশ^র কখনো ভুলে যেতে পারেন না, কেননা ভুলে যাওয়া ঈশ^রের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। এটা মানবীয় সীমাবদ্ধতা ও দুর্বলতার উদাহরণ। একইরূপে ঈশ^র ভুল করতে পারে না, কেননা ভুল করা ঈশ^রের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না।
আল-কুরআনে ঘোষনা “আমার প্রভু বিভ্রান্তও হয় না, ভুলেও যান না।” সূরা তা-হাঃ৫২ ঈশ^র ঈশ^রসূলভ কাজই করেনঃ তাঁর সবকিছু করার ক্ষমতা আছে, ঈশ^র সম্পর্কে ইসলামের ধারণা হলো- ঈশ^রের ক্ষমতা সবকিছুর উপর বিরাজমান’ আল-কুরআনে ঘোষনা করেছে- “আল্লাহ অবশ্যই সর্ববিষয় সর্বশক্তিমান।” সূরা বাকারাঃ- ১০৬,১০৯,২৮৪,৩,২৯,১৬,৭৭,৩৫,১। কুরআন মজিদ আরো বলে- “তিনি যা চান তাই করেন।” সূরা বুরূজ-১৬।
কিছু লোক ‘অন্ধ’ ও বধিরঃ অবতারবাদী দর্শনের অসম্ভাব্যতা ও অযৌক্তিতা স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরও অনেক ধর্মের অনুসারীরা নিজেরাও এ অবতারবাদে বিশ^াস করে এবং অন্যদেরকেও এটা শিক্ষা দেয়। এটা কি মানুষের বুদ্ধিমত্তা এবং যিনি মানুষকে এ বুদ্ধিমত্তা দান করেছেন তাঁর প্রতি অবমানানা প্রদর্শন নয়? এ সমস্ত লোকই প্রকৃতপক্ষে অন্ধ ও বধির, যদিও আল্লাহ তাদেরকে শ্রবণেন্দ্রীয় ও দর্শনেন্দ্রীয় দিয়েছেন। প্রবিত্র কুরআনে বালা হয়েছে, “ তারা বধির, বোবা ও অন্ধ, তারা (সঠিক পথে) ফিরে আসবে না।” সূরা বাকারাঃ১৮, বাইবেল মথির লিখিত মুসমাচারে একই কথা বলেছে- ‘‘ তারা দেখেও দেখেনা এবং শুনেও মোনোনা, তারা বুঝেতেও সক্ষম নয়।” মথি১ ৩ঃ১৩। হিন্দুদেও পবিত্র গ্রন্ত ‘ঋগবেদে, উলেক্ষ আছে। “ এমন কিছু লোক রয়েছে যারা বাণীসমূহ দেখে, প্রকৃতপক্ষে তারা দেখে না; এমন কিছু লোকও রয়েছে যারা বাণীসমূহ শোনে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তার শোনেনা।” (ঋগবেদ ১০ঃ৭১ঃ৪)
এসব পবিত্র গ্রন্থের বাণী তাদের পাঠকদেরকে বলে যে, যদিও ঈশ^রের বিষয়টি অত্যন্ত সুস্পষ্ট, তবুও এরা সত্য থেকে বিচ্যু-ই হয়ে যাবে।
এই সর্বসক্তিমান ইস্বর পৃথিবীতে আসেন মানুষের রূপ নিচ্ছেন, কেউ বিশ^াস করে আল্লাহ অনেক বার মানুষের রুপ নিয়ে আসেন কেউ বলে এক বার মানুষের রুপ নিয়ে আসেন এর এখানে যোক্তিও আছে যে সর্বসক্তিমান ইস্বর এত বিশুদ্ধ এত পবিত্র যে তিনি মানুষের সিমাবদ্ধতা বুঝতে পারেনা তিনি জানে না মানুষ কিভাবে অনুব্ব করে। যখন সে রেগে যায় যখন মন খারাপ থাকে বা ব্যথাপায় তাহলে সর্বসক্তিমান ইস্বর মানুষের রুপ নিয়ে পৃথিবীতে আসেন দেখার জন্য যে মানুষের কুনটা খারাপ কুনটা ভাল, যুক্তিটা এক দিক দিয়ে ভালই। তবে আমি বলি যে আমি যদি একটা মোবাইল তৈরী করি তাহলে কি আমাকে মোবইল হতে হবে। আমি মোবাইল হব না । আমি কি করবো একটা নির্দেশিকা লেখে দেব এবং নির্দেশিকা না বুঝলে একজন অবিজ্ঞ লোক দেব। মহান আল্লাহ্ তাই করেছেন, মানুষ ব্যাক্তিগত জীবন থেকে রাষ্ট্রীয়, রান্না ঘর থেকে পারলামেন্ট প্রর্যন্ত কি ভাবে জীবন দ্বারন করবে তা ধর্ম গন্থে বলে দিয়েছেন, এবং তা বুঝার জন্য অবিজ্ঞ লোক, নবী রাসূল পাঠিয়ে ছেন। সূরা আল-আনামের ১০৮ নং আয়াতে বলেন “ আর (হে ঈমানদারগণ!) এরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদেরকে ডাকে তোমরা তাদেরকে গালি দিয়ো না। কেনানা, এরা শিরক থেকে আরো খানিকটা অগ্রসর হয়ে অজ্ঞতাবশত যেন আল্লাহকে গালি দিয়ে না বসে। আমি তো এখানে প্রত্যেক জনগোষ্ঠীর জন্য তাদের কার্যক্রমকে সুশোভন করে দিয়েছি। তারপর তাদের ফিরে আসতে হবে তাদের রবের দিকে। তখন তিনি তাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে তাদেরকে জানিয়ে দেবেন।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন