মানুষ কেন বিভিন্ন দলের পক্ষাবলম্বন করে?
সম্পূর্ণ আবেগ আর দৃষ্টি ভংগির পার্থক্যের কারনে মানুষ বিভিন্ন দলের পক্ষাবলম্বন করে থাকে। তরুন আর যুব সমাজকে তাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে নিজেদের দলে ভিড়িয়ে নেয় গুরু জিও নেতারা। তরুন আর যুবকদের স্রোত যেদিকে যায়, স্বাভাবিক ভাবেই আম জনতার স্রোতও সেদিকে থাকে। স্রোতের বাইরে যাওয়ার চিন্তা খুব কম মানুষই করে থাকে।
স্রোতের বাইরে মানব যেতে চায় না কেন?
বিশেষত যাদের কাছে আদর্শের সঠিক ধারণা নেই, আদর্শ লালন করার মতো শিক্ষাও যাদের নেই তারা তো চোখ কান বন্ধ করে জনবহুল দলের সাপোর্টার বনে যায়। দাওয়াতী কাজে নামলে বিষয়টির সততা উপলদ্ধি করতে পারা যায়। কোন সাধারন ব্যক্তিকে যদি ইসলামী রাজনীতির গুরুত্ব্য বুঝিয়ে কিছুক্ষন বয়ান করেন দেখবেন অত্যান্ত সহমর্মিতার ভাব নিয়ে জবাব দিবে, ভাই আপনাদের কথা ঠিক আছে কিন্ত আসলে আপনাদের কে ভোট দিয়ে লাভ নেই, বরং ভোটটা নষ্ট হবে। আপনারা ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। আপনাদের দলের সাপোর্টার হলে কোন লাভ নেই। সকল কাজের ভাগ বাটোয়ারা তো নেতা কর্মীরাই পাবে। আপনাদের তো সেই ক্ষমতা নেই।
তরুণসমাজকে বশে রাখার জন্য কিছু পদ্ধতি।
তরুন আর যুবক শ্রেণীকে বশে রাখার জন্য কতিথ এসব দেশপ্রেমীক দলগুলো মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি আর টেন্ডার বানিজ্য কে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগায়। দুনিয়ার উন্নত প্রতিটি দেশে টেন্ডার কে অনলাইন করা হয়েছে। ই-টেন্ডার এখন উন্নত দেশগুলো তে অতি গুরুত্ব্যপূর্ণ বিষয়। মাদক কে কোন কোন দেশ সর্ম্পুন নিষিদ্ধ করে দিয়ে মাদক বহন ও বিপনন কে মৃত্যুদন্ড দেওয়ার মতো অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। চাঁদাবাজির চিন্তা উন্নত দেশগুলো তে নেই বললেই চলে। অথচ আমাদের উন্নয়নশীল দেশের বুর্জয়া নেতারা টেন্ডার বাজিকে নিজেদের দলের ফান্ড মেকারের ভূমিকায় নামিয়ে দিয়েছেন। প্রত্যেক দলের যেসব কর্মী আর নেতারা বিল বোর্ড রাজনীতির সাথে জড়িত তাদের কর্মকান্ড পর্যালোচনা করলে বিষয়টির সততা খুজে পাওয়া যায়। যারা বিলবোর্ডে নেতার ছবি আর প্রশংসা বাক্যের সাথে নিজের পরিচয় তুলে ধরে থাকেন খোজ নিয়ে দেখুন তাদের অধিকাংশ হয় মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত নতুবা টেন্ডার দখলের মতো অপরাধের সাথে জড়িত অথবা টেন্ডার দখলের অপেক্ষায় ক্ষমতার প্রহর গুনছে।
সরকারি দলের পদ পদবির এত কদর কেন বলতে পারেন ?
তারও একমাত্র কারণ এই টেন্ডার বাজি, চাঁদাবাজি আর মাদক ব্যবসার আধিপত্য বিস্তার করার ক্ষেত্র তৈরি করা। প্রতিষ্টিত দলের ওয়ার্ড সভাপতির পদের জন্য কুটি টাকা খরচ করার ইতিহাস সম্ভবত এই বাংলাদেশেই আছে। তার কারণও সেই একই। দেশ বিধ্বংষী এই সকল কর্মকান্ডকে বৈধতা দিয়ে এর গায়ে দেশপ্রেম আর তারুন্যের শ্লোগান উঠাতে সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলছে কর্পোটে হাউজের দালাল মিডিয়াগুলো। একটি কথা স্বতস্বিদ্ধ যে, দেশের প্রতিটি কোনে যত গ্রাম নেশার দ্রব্য বিক্রি হয় তার প্রতিটি পয়সাকে চারটি অংশে বিভক্ত করা হয়।
মাদকের টাকা কোথায় যায়?
প্রথম অংশ পায় পুলিশ প্রশাষন যারা এদের কে যত্ন করে লালন করে, যাতে তাদের ইনকামে কোন সমষ্যা তৈরি না হয়। বুর্জুয়া রাজনীতিকে এই প্রশাষন সব সময় প্রমোট করে থাকে। এর বিপরিতে উত্থিত যে কোন আদর্শিক আন্দোলন কে এরা জমের মতো করে ভয় পায়। কারণ অপরাধ না হলে, সামজিক অবক্ষয় সৃষ্টি না হলে নিজেদের ছেলে মেয়েদের কে মাসিক হাত খরচ বাবদ দুই তিন লাখ টাকা কিভাবে দেওয়া হবে। নিজের সন্তানদের কে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে মাসিক এক লক্ষ টাকা খরচ করে কিভাবে পড়ানো যাবে। একজন পুলিশ কর্মকতা যখন সর্ব সাকুল্যে ত্রিশ হাজার টাকার বেশি বেতন ভাতা পান না, সেখানে তিনি একটি ছেলে বা মেয়ের জন্য কিভাবে প্রতি মাসে এক লক্ষ টাকা খরচ করেন এটা দেখার কোন অথরিটি কি আছে ? মোটেও নেই, এসব দিকে বুর্জয়ারা তাকায়ও না কারণ চোরের স্বাক্ষি মাস্তুত ভাই। প্রত্যেকেই তো নিজেদের আখের গোছানোর কাজে ব্যস্ত। দেশপ্রেম আর গনমানুষের দল বলে যেসব শ্লোগান ফেরি করা হয় তার প্রতিটি শব্দে মিশে আছে শঠতা আর প্রতারনা।
দ্বীতিয় ভাগটি পায় স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা। যারা এতদিন এই সকল তরুনদের কে দেশপ্রেম, আলোকিত জীবন আর তারুন্যের জয়গানের মন্ত্র শুনাতেন। তাদের বিনিয়োগ তারা সুদে আসলে তুলে নিতে আর দেরি করেন না।
তৃতিয় অংশটি যায় মিডিয়া নামের দেশদ্রোহী প্রতিষ্টান এর কর্নধার বা স্থানীয় পর্যায়ে সাংবাদিক নামধারী জানোয়ার দের ভাগে।
চতুর্থ অংশটি স্বাভাবিক ভাবেই তারা পায় যারা এতদিন ধরে নিজের পকেটের টাকা খরচ করে, নেতাদের পায়ে নিজের দেশপ্রেম আর ঈমানকে বিলিয়ে দিয়ে রাজনীতি করে আসছিল। যারা কুটি টাকা খরচ করে ওয়ার্ডের সভাপতির পদ অলংকৃত করেছে।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন