নামায আদায়কারীর পুরস্কার ও উপকারিতা
নামায আদায়কারীর পুরস্কার ও উপকারিতা
আখেরাতের পুরুস্কার উম্মুল মোমেনীন হযরত আয়েশা ছিদ্দিকা রা. বলেন: নবী করীম সা. এর
এ রকম অভ্যাস ছিল যে, তিনি যখন ঘরে তাশরীফ আনতেন কোন লৌকিকতা ছাড়াই ঘরবাসীদের সাথে প্রাণ খুলে কথাবার্তা বলতেন। কিন্তু মুয়াজ্জিনের আজান শোনা মাত্রই তিনি এরূপ ব্যাকুল হয়ে উঠতেন যে, সাথে সাথে আমাদের সঙ্গে কথাবার্তা বন্ধ করে দিতেন এবং নামাযের প্রস্তুতি নিতেন। তখন তাঁরঅবস্থা দেখে মনে হত, আমরা যেন তাঁর নিকট সম্পূর্ণ অপরিচিত। এর কারণ এই ছিল যে, আল্লাহ তায়া’লা এবং তাঁর বান্দার মধ্যে যোগাযোগের একমাত্র সূত্র হচ্ছে নামায; সুতরাং এই নামাযের জন্য স্ত্রী-পুত্র তো বটেই এমনকি সমগ্র দুনিয়া এবং দুনিয়ায় যা কিছু আছে তার সবকিছু বিনষ্ট হলে ও কিছু আসে যায় না। মহান রাব্বুল আলামীন নামাযী বান্দাদের জন্য কি পুরস্কার রেখেছেন সে সম্পর্কে কুরআন ও হাদীসের কয়েকটি উদ্ধৃতি নিম্নে পেশ করা হল।
১. মহান আল্লাহ তায়া’লা ইরশাদ
করেন ঃ
ﺍﻟﺬﻳﻦ ﻳﻘﻴﻤﻮﻥ ﺍﻟﺼﻠﻮﺓ ﻭﻣﻤﺎ ﺭﺯﻗﻨﻬﻢ ﻳﻨﻔﻘﻮﻥ- ﺍﻭﻟﺌﻚ ﻫﻢ
ﺍﻟﻤﻮﻣﻨﻮﻥ ﺣﻘﺎ- ﻟﻬﻢ ﺩﺭﺟﺖ ﻋﻨﺪ ﺭﺑﻬﻢ ﻭﻣﻐﻔﺮﺓ ﻭﺭﺯﻕ ﻛﺮﻳﻢ -
‘‘যারা নামায কায়েম করে এবং আমার দেয়া রিযিক থেকে ব্যয় করে। তারা হল সত্যিকার ঈমানদার। তাদের
জন্য তাদের প্রতিপালকের কাছে রয়েছে মর্যাদা, ক্ষমা ও সম্মান জনক রিযিক। [ সূরা আনফাল-৩-৪]
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন