নরসিংদীতে একজন নারী তার পোশাক নিয়ে হেনস্তার শিকার ৷ In Narsingdi, a woman was harassed with her clothes.
একজন মহিলার পোশাক কেমন হওয়া উচিত?
বাইবেলের (Gospel of Mothew ch:5 V:27-28) এরঅধ্যায় 5 এবং অনুচ্ছেদ 27-28 যীশু খ্রীষ্ট বলেছেন-এই হল প্রচলিত আইন, তোমরা কেউ ব্যভিচার করবে না, তবে আমি তোমাদের বলছি, যদি কেউ কোন মহিলাকে দেখে লালসা পূর্ণ দৃষ্টিতে ,তাহলে সে মনে মনে ব্যভিচার বিচার করে ফেলেছে৷
এরপর কুরআন বলে মহিলাদের ব্যভিচার কথা৷ সূরা নূরের 31 নম্বর আয়াতে উল্লেখ আছে ৷
আর হে নবী! মুমিন মহিলাদের বলে দাও, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত করে রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে, আর তাদের সাজসজ্জা না দেখায়, যা নিজে নিজে প্রকাশ হয়ে যায় তাছাড়া৷ আর তারা যেন তাদের ওরনার আঁচল দিয়ে তাদের বুক ঢেকে রাখে৷ তারা যেন তাদের সাজসজ্জা প্রকাশ না করে, তবে নিম্নোক্ত দের সামনে ছাড়া৷ স্বামী, পিতা, স্বামীর পিতা, নিজের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাইয়ের ছেলে, নিজের বোনের ছেলে, নিজের মেলামেশার নারীদের, নিজের মালিকানাধীন দের, অধীনস্থ পুরুষদের যাদের অন্যরকম উদ্দেশ্য নেই, এবং এমন শিশুদের সামনে ছাড়া যারা মহিলাদের গোপন বিষয় সম্পর্কে এখনও অজ্ঞ৷ তারা যেন নিজেদের যে সৌন্দর্য তারা লুকিয়ে রেখেছে তালুকদের সামনে প্রকাশ করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে সজোরে পদাঘাত না করে৷হে মুমিনগণ! তোমরা সবাই মিলে আল্লাহর কাছে তওবা করো, আশা করা যায় তোমরা সফলকাম হবে৷
নারীদের জন্য পুরুষদের মত দৃষ্টি সংযত একই বিধান রয়েছে৷ অর্থাৎ তাদেরও ইচ্ছা করে গ্রীন পুরুষদের দেখা উচিত নয়৷ ভিন্ন পুরুষদের প্রতি দৃষ্টি পড়ে গেলে ফিরিয়ে নেওয়া উচিত এবং অন্যদের শত থেকে বিরত থাকা উচিত৷ কিন্তু পুরুষদের পক্ষে নারীদের তুলনায় নারীদের পক্ষে পুরুষদেরকে দেখার ব্যাপারে কিছু ভিন্ন বিধান রয়েছে৷ হিজাব পরার 6 টি শর্ত রয়েছে৷ প্রথমটি হলো নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত পুরুষদের জন্য৷ আর মহিলাদের জন্য সমস্ত শরীর ঢাকা থাকবে৷ তবে যে অংশটুকু দেখা যেতে পারে তা হল মুখ আর কব্জি পর্যন্ত হাত৷ আর বাকি পাঁচটা মহিলা এবং পুরুষদের জন্য একই৷ দুই তাদের পোশাক খুব আঁটোসাঁটো হবে না, যাতে শরীরের গঠন বুঝা যায়৷ 3 পোশাকটা খুব স্বচ্ছ হবে না যাতে বাহির থেকে শরীর দেখা যায়৷ এমন আকর্ষণীয় হবে না যাতে বিপরীত লিঙ্গ আকর্ষণ হয়৷ যেই পোশাকে অবিশ্বাসীদের কোন চিহ্ন থাকবে না৷
আর হিজাব পালনের কারণ দেওয়া আছে সুরা আযহাব এর 59 নাম্বার আয়াতে৷ এখানে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন-
হে নবী! তোমার স্ত্রীদের, কন্যাদের ও মুমিন নারীদেরকে বলে দাও যে, তারা যেন তাদের চাদরের প্রান্ত তাদের ওপর টেনে নেয়৷ এটি অধিকতর উপযোগী পদ্ধতি, যাতে তাদেরকে চিনে নেওয়া যায় এবং কষ্ট না দেওয়া হয়৷ আল্লাহ ক্ষমাশীল করুণাময়৷চিনে নেওয়া যায়, এর অর্থ হচ্ছে, তাদেরকে এই ধরনের অনাড়ম্বর ও লজ্জা নিবারণ কারি পোশাকে সজ্জিত দেখে প্রত্যেক ক প্রত্যক্ষকারী জানবে যে, তারা অভিজাত ও সম্ভ্রান্ত পরিবারের পূত-পবিত্র মেয়ে, এমন ভবঘুরে অসতী ও পেশাদার মেয়ে নয়, কোন অসাদাচারি মানুষ যার কাছে নিজের কামনা পূর্ণ করার আশা করতে পারে৷ ``কষ্ট না দেওয়া হয়’’ এর অর্থ হচ্ছে, তাদেরকে যেন উত্যক্ত ও জ্বালাতন না করা হয় ৷
ঋকবেদে উল্লেখ করা হয়েছে গ্রন্থ নাম্বার 8 অনুচ্ছেদ 33 পরিচ্ছেদ 19 বলা হয়েছে: যে ব্রাহ্ম যখন তোমাকে মেয়ে বানিয়েছে তোমরা দৃষ্টি নিচু করবে আর চোখ তুলবে না, দুই পা একসাথে রাখবে, তোমরা সেটা প্রকাশ করবে না, যেটা পোশাক এবং পর্দা গোপন করে রাখে ৷ ঋকবেদে বলেছে পর্দা করা উচিত৷ আরো উল্লেখ করা হয়েছে৷ গ্রন্থ নাম্বার 10 অনুচ্ছেদ 85 পরিচ্ছেদ 30: সেই লক্ষ্যে কেউ পছন্দ করেনা যে তার স্ত্রীর পোশাক দিয়ে নিজের মুখে ঢেকে রাখে৷ অর্থাৎ অন্য লিঙ্গের পোশাক পরা যাবে না৷ এছাড়াও চরিত্রের উল্লেখ আছে অধ্যায় নাম্বার 2 পৃষ্ঠা 71: রাম বলেছেন যখন পরমেশ্বর আসলেন রাম তার স্ত্রী সীতাকে বললেন, উনি আমাদের গুরুজন, তোমার দৃষ্টি নিচু করো আর পর্দা দিয়ে ঢাকো৷
এখানে কিছুক্ষণ থেমে একবারে কথাটি অনুধাবন করার চেষ্টা করুন যে, কুরআনের এই হুকুম এবং এই হুকুমের যে উদ্দেশ্য আল্লাহ নিজেই বর্ণনা করেছেন তা ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা কোন ধরনের প্রাণশক্তির প্রকাশ ঘটাচ্ছে৷ ইতিপূর্বে সূরা নূরের 31 আয়াতে এই নির্দেশ আলোচিত হয়েছে যে, মহিলারা তাদের সাজসজ্জা ও মুখ ধরনের পুরুষ ও নারীদের ছাড়া আর কারো সামনে প্রকাশ করবে না৷ আর মাটির ওপর চাপিয়ে চলবে না৷ যাতে যে সৌন্দর্য তারা লুকিয়ে রেখেছে লোকেরা যেন তা জেনে না ফেলে৷ এই হুকুমের সাথে যদি সুরা আযহাব এ আয়াতটি পড়া হয় তাহলে পরিষ্কার জানা যায় যে, এখানে চাদর দিয়ে ঢাকার যে হুকুম এসেছে অপরিচিতদের থেকে সৌন্দর্য হচ্ছে তার উদ্দেশ্য৷ আর একথা সুস্পষ্ট যে, উদ্দেশ্য তখনই পূর্ণ হতে পারে যখন চাদরটি হবে সাদামাটা৷ এটি এমন একটি সর্বাধিক উপযোগী পদ্ধতি যা থেকে মুসলমান মহিলাদের কে চিনে নেওয়া যাবে এবং তারা উত্যক্ত হাওয়া থেকেও রক্ষা পাবে ৷ এ থেকে আপনাআপনি এ কথা প্রকাশ হয়ে যায় যে, এই নির্দেশ এমনসব মহিলাকে দেওয়া হচ্ছে যারা পুরুষদের হাতে উত্যক্ত হবার এবং তাদের দৃষ্টিতে পড়ার ও তাদের কামনা- লালসার লক্ষ্যে পরিণত হবার ফলে আনন্দ অনুভব করার পরিবর্তে একে নিজেদের জন্য কষ্টদায়ক ও লাঞ্ছনাকর মনে করে, যারা সমাজে নিজেদের কে বে-আব্রু মক্ষীরানী ধরনের মহিলাদের মধ্যে গণ্য করাতে চায় না, বরং সতী-সাধ্বী গৃহ প্রদীপ হিসেবে পরিচিত হতে চায়৷ এই ধরনের শরীফ অপু তো চরিত্রের অধিকারী সৎকর্মশীল মহিলাদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, যদি সত্যিই তোমরা এভাবে নিজেদের কে পরিচিত করাতে চাও এবং পুরুষদের যৌন লালসার দৃষ্টি সত্যিই তোমাদের জন্য আনন্দদায়ক না হয়ে কষ্টকর হয়ে থাকে, তাহলে এজন্যই তোমরা খুব ভালোভাবে সাজসজ্জা করে বাসর রাতের কনে সেজে ঘর থেকে বের হইও না বরং দর্শকদের লালসার দৃষ্টির সামনে নিজেদের সৌন্দর্যকে উজ্জ্বল করে তুলে ধরো না৷ কেননা এটা এর উপযোগী আচরণ নয় বরং এজন্য সর্বাধিক উপযোগী আচরণ এই হতে পারে যে, তোমরা একটি সাদামাটা চাদরে নিজেদের সমস্ত সৌন্দর্য সাজসজ্জা ডেকে বের হবে, চেহারা ঘোমটার আড়ালে রাখবে এবং এমন ভাবে চলবে যাতে অলংকারের রিনিঝিনি আওয়াজ লোকদেরকে তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট না করে ৷
বাইবেলের ওল্ড স্টেটমেন্ট (Book of deuteronomy ch:22 V:05) অধ্যায়ঃ 22 অনুচ্ছেদ 5 ৷
একজন মহিলা কখনোই একজন পুরুষের পোশাক পরবে না, একজন পুরুষ কখনোই একজন মহিলার পোশাক পরবে না ৷
বাইবেলের (01 Timothy: ch-02, V-09) মহিলারা প্রসাব করবে শালীনতার সাথে, লজ্জাশীলতা সাথে ৷ তারা বহু মূল্যের বা স্বর্ণের চুল পরবে না ৷ এবং তারা বহু মূল্যের পোশাক পরবে না বাইবেল এবং কোরআনের ড্রেসকোড একই রকম৷ মা মেরি, মরিয়ম আলাই সাল্লাম কেমন পোশাক পরতেন৷ ফটো দেখলে বুঝবেন মুসলিম মহিলারাও একই পোশাক পড়ে থাকে৷
যদি সমান সুন্দরী দুটি যমজ বোন একটি রাস্তা দিয়ে হেটে যায়, এর মধ্যে একজন পড়েছে ইসলামী পোশাক হিজাব, আরেকজন পড়েছে মিনি স্কাপ অর্থাৎ সংক্ষিপ্ত পোষাক, পশ্চিমা ড্রেস ৷দুজনেই একসাথে হাঁটছে, সেই রাস্তায় যদি একজন বখাটে যুবক থাকে, তাহলে কোন মেয়েটাকে উত্যক্ত করবে?নিশ্চয়ই সংক্ষিপ্ত পোষাক পরা মেয়েটা কে কোরানেও তাই বলা হয়েছে৷
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন