Header Ads

বাইক রাইডিং করার সময় যে বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে৷

আমাদের সবারই মাঝে মাঝে কিংবা প্রতিনিয়ত হাইওয়েতে বাইক রাইড করতে হয়৷ অনেকে শখের বশে বাইক নিয়ে লং রাইড করে থাকে৷ এর মাঝে অনেকেই হয়তো হাইওয়েতে রাইটিং এর অভ্যাস আছে আবার অনেকেই প্রথম উন্মুক্ত রাস্তায় রাইট করেন৷ যারা শহর এলাকায় অথবা স্পিডে বাইক চালিয়ে অভ্যস্ত তারা যখন মাঝে মাঝে হাইওয়েতে বাইক রাইড করেন, তখন অসতর্কতার কারণে ঘটে যেতে পারে যেকোনো ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা৷ 

চলুন তাই জানি নেই হাইওয়েতে বাইক রাইডিং করার সময় যে বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে৷ 



1. প্রথম মতো অবশ্যই ভালো মানের সার্টিফাইড হেলমেট ব্যবহার করুন, হেলমেট ব্যবহারে যত অসুবিধা হোক না কেন জীবনের ঝুঁকি না নিয়ে হেলমেট ব্যবহার করা প্রত্যেকের উচিত৷  সেইসাথে গ্লাভস, এলবো, গার্ড, নি গার্ড, ব্যবহার করা আরও নিরাপদ৷



2.  রাস্তায় চলার সময় রাস্তার মাঝে লম্বা দাগ বা গর্ত থাকে বাইকের সামনের চাকা এসব গর্ত বা দাগ এর মাঝে পড়লে বাইকের কন্ট্রোল হাতছাড়া হতে পারে৷

3.  অপরিচিত রাস্তায় গতি নিয়ন্ত্রণে রেখে সতর্কতার সাথে রাইট করুন যাতে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি বাইকের কন্ট্রোল আপনার হাতে থাকে৷



4.  নদীর উপরে তৈরি সেতু বা বড় ধরনের ব্রিজের মাঝে বাতাসের চাপ থাকে তুলনামূলক একটু বেশি ব্রীজের উপর তাই গতি ততটুকুই রাখুন যেটুকু আপনি প্রচুর বাতাসের প্রেসার কন্ট্রোল করতে পারবেন ৷

5. লাইন স্পট বা অদৃশ্য অংশ,  সেই জায়গাগুলো কে বলে চালকের নিজচোখে লুকিং গ্লাসে দৃশ্যমান হয় না, অর্থাৎ আপনার বাইকের লুকিং গ্লাস পিছনের যে অংশটুকু দেখতে পাচ্ছেন তার বাইরে ও কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে অন্য বাহন  বাইক থাকলেও  আপনি দেখতে পান না৷


আবার বড় গাড়ি যেমন ট্রাক, বাস, কার, লোরি তাদের বড় জায়গা জুড়ে লাইভ স্পোর্ট এখানে আপনি বাইক নিয়ে অবস্থান করলেও সে আপনাকে দেখতে পাবে না৷ ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থেকে যায়৷ তাই রাস্তার এমন একটি স্থান বেছে নিন যেখান থেকে আপনি পুরা রাস্তার নজর দিতে পারেন৷ এবং আপনাকে অন্য ড্রাইভার দেখতে পারে৷


6. কুয়াশার দিনে বা মেঘলা দিনে হেডলাইট বা পার্কিং লাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালান৷

7. টার্ন নিতে চাইলে সিগন্যাল দিন এবং টার্ন নেওয়া হলে অবশ্যই সিগন্যাল লাইট অফ করুন৷ তা না হলে অন্য ড্রাইভার ভুলবুজে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে৷

8.সামনের কোন  ডাইভারের এর নজরে আসতে চাইলে হর্ন ব্যবহার করুন, হর্ন কাজ না হলে হেডলাইট লিঙ্ক করতে পারেন৷



9. যে কোনো যানবাহন এর কাছে যাবার চেষ্টা করবেন ৷ সামনের গাড়ি থেকে আপনার দূরত্ব যত বেশি হবে রাইডিং হবে তত নিরাপদ ৷ 

আপনি ভুল না করলেও অন্য ড্রাইভার ভুল করতে পারেন৷ 

10.নিরাপদ দূরত্ব থেকে বাইক চালানোর চেষ্টা করুন, দূরপাল্লার বাস ট্রাকের মত যানবাহনের বাতাসের ধাক্কাতেও আপনার  রাইডিং ব্যালান্স নষ্ট হতে পারে৷ 

11. কোনো যানবাহন আপনাকে অতিক্রম করার সময় যানবাহনের দিকে না তাকিয়ে রাস্তার দিকে তাকিয়ে বাইক চালান৷  আপনি  যেদিকে তাকাবেন সাধারণত সেদিকে আপনার বাইক যেতে চাইবে৷ 

12. উভয়কেই লুকিং গ্লাস সমান গুরুত্ব দিন বাইকাররা সাধারণত ডান দিকেলুকিং গ্লাস বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে৷  আমরা ভেবে নেই পিছন দিক থেকে গাড়ি আসবে ডান পাশ দিয়ে কিন্তু অতি জ্ঞানী বাম পাশ দিয়ে ঢুকে গেলে আচমকা আপনাকে চমকে দিতে পারে৷ 

13. রাস্তার পাশে ফাঁকা বড় বড় গাছপালার আলোছায়া থাকার কারণে অনেক সময় স্পিড বেকার দেখা যায় না৷  তাই এরকম রাস্তায় খুব সাবধানে স্পিড বেকার বা ভাঙ্গা গর্ত দেখে গাড়ি চালান এতে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকবে অনেক কম৷

14. রাস্তার টার্নিং পয়েন্ট বা বাকগুলো দেখে সাবধানে এবং বুঝে নিন সেই জায়গায় আপনি কিভাবে রাইড করে পার হবেন৷ আপনার বাইকের সুবিধা এবং কার্যক্ষমতা বুঝে এসব টার্নিং পয়েন্ট গুলোর মাঝে টার্নিং কিংবা কর্নারিং করুন৷ চাকার টায়ার এর ওপর নির্ভর করে আপনি এইধরনের টার্নিং গুলো কিভাবে পার হবেন৷ টার্নিং নেওয়ার সময় কিছু বিষয় আলাদাভাবে দেখুন৷

A.রাস্তা ভাঙা বা গর্ত কি না ?
B. রাস্তার প্রস্থ কতটুকু?
C. পিচ্ছিল বা কর্দমাক্ত কিনা?

উপরোক্ত বিষয়গুলো থাকলে খুব সতর্কতার সহিত ধীরগতিতে গাড়ি রাইড করে বাক এড়িয়ে যান ৷

এইসব বিষয়গুলো মেনে চললে হাইওয়েতে আপনার বাইক রাইডিং হবে আরও বেশি নিরাপদ৷ হাইওয়েতে বাইক রাইডিং করার সম্পূর্ণ আনন্দ উপভোগ করতে নিজ দায়িত্বে সাবধানতা অবলম্বন করে বাইক চালান৷  সবার যাত্রা হোক শুভ৷


কোন মন্তব্য নেই

RBFried থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.