আপনি জানেন কি টর্নেডো কি? দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর টর্নেডো কোথায় হয়েছিল?
টর্নেডো কি?
টর্নেডো হল বাতাসের ভর,টর্নেডোটি ঘূর্ণি আকারে অনেক হাই প্রেসারে কৌণিক বেগে তৈরি হয়।এর দুটি মাথা থাকে। একটি মাথা পৃথিবীর পৃষ্ঠা চলে যায়, এবং অন্য মাথাটি চলে যায় কিউমুলোনিম্বাস মেঘের ভেতর।টর্নেডো এমন একটি শক্তিশালী ঝড় যা কয়েক মিনিটের মধ্যেই একটি এলাকাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করতে পারে, টর্নেডো কখন কোথায় হবে, এটি পূর্বাভাস দেওয়া খুবই দুষ্কর।
টমেটো কিভাবে তৈরি হয়ে থাকে?
যদি কোন কারনে কোন স্থানে নিম্নচাপ বা লঘুচাপের সৃষ্টি হয় তাহলে ওই স্থানের উষ্ণ বাতাস উপরের দিকে উঠে যায় এতে তখন ওই শূন্য জায়গা * এর প্রয়োজন পড়ে আর তখন চারদিকের শীতল বাতাস দ্রুতবেগে ধাবিত হয় ।কালবৈশাখী ঝড়ের মত টর্নেডোর উৎপত্তি হয়। টর্নেডোতে বাতাস প্রচন্ড বেগে ঘুরতে থাকে। এই জ্বর অল্প সময়ের জন্য তৈরি হয়ে এর সামনে যা পরে, সবকিছু নিজের ভিতরে টেনে নিয়ে ক্রমেই শক্তিশালী হতে থাকে। এই সময় তার সামনে যা কিছু পরে সবকিছু ভেঙে চুরে তছনছ করে সামনে অগ্রসর হয়। মেজরিটি সময় টর্নেডো দেখতে শুরু চ্যানেল এর মত হয়, জার্সি কোন অংশটি মাটি স্পর্শ করে। যদিও টর্নেডো বিভিন্ন আকার বা আকৃতি হতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে এক টর্নেডো থেকে কয়েকটি টর্নেডো তৈরি হতে পারে, যাকে টর্নেডোর পরিবার বলা হয়ে থাকে।
টর্নেডো বা কালবৈশাখী ও সাইক্লোন এর মধ্যে পার্থক্য কি?
সাইক্লোন এবং টর্নেডোর দুটি বড় ধরনের ঝড়।দুটো ঝড়ঘড়ির কাটার উল্টা দিকে ঘুরতে থাকে। তবে দুটো ঝড়ের মধ্যে পার্থক্য হল, টর্নেডো হচ্ছে বাতাসের লম্বা কলাম। যা একটি নির্দিষ্ট এলাকাভেদে হয়ে থাকে। টর্নেডো যেকোনো সময় যেকোনো স্থানেই তৈরি হতে পারে। তবে সাইক্লোন তৈরি হয় সাধারণত দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর ও ভারত মহাসাগরে। সাইক্লোন তৈরি হওয়ার পূর্বে থেকেই লঘুচাপ, নিম্নচাপ ইত্যাদি পর্যায় পার হয়ে আসতে থাকে তাই এটির পূর্বাভাস পাওয়া যায়। টর্নেডোর ক্ষেত্রে এমনটি ঘটে না বিদায় কোন পূর্বাভাস পাওয়া যায় না। যেকোনো স্থানে যেকোনো সময় টর্নেডো হানা দিতে পারে। সাইক্লোন বিশাল এবং বিস্তৃত এলাকাজুড়ে তৈরি হয়ে থাকে, কিন্তু টর্নেডো তা হয় না টর্নেডো সর্বোচ্চ আকার হতে পারে 10 থেকে 12 কিলোমিটার। সাইক্লোন এর স্থায়িত্ব বেশি, এবং টর্নেডোর স্থায়িত্ব সেই তুলনায় অনেক কম, সাইক্লোন স্থায়িত্ব সপ্তাহব্যাপী আর টর্নেডো এক মিনিট থেকে সর্বোচ্চ ঘন্টাখানেক হয়ে থাকে। কালবৈশাখীর সাথে টর্নেডোর পার্থক্য হল বাতাসের গতিবেগ, কালবৈশাখী ঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় 40 থেকে 60 কিলোমিটার হয়। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর গতিবেগ ঘন্টায় 100 কিলোমিটার ও হতে পারে। তবে টর্নেডোর সময় বাতাসের গতিবেগ থাকে 60 থেকে 200 কিলোমিটার কিংবা এর চেয়েও বেশি। কালবৈশাখী একেবারে হুট করে হয় না, কালবৈশাখী ঝড় একটু সেজেগুজে আসে কিছুটা সময় নিয়ে, আর টর্নেডো মুহূর্তের মধ্যেই কোন ভুমিকা ছাড়াই হুট করে চলে আসে।
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর টর্নেডো হয়েছিল।
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর টর্নেডো হয়েছিল মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় হাজার 1989 সালের 26 শে এপ্রিল।এই টর্নেডোতে নিহত হয়েছিল এক হাজারেরও বেশি মানুষ আর আহত হয়েছিল প্রায় 10 হাজার মানুষ,1988সালের ঐতিহাসিক বন্যার পর, এই টর্নেডো দাওয়াত খেতে আসে সাটুরিয়া বাসির উপর। বিকাল 5 টার দিকে মাত্র এক মিনিটের মধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল সাটুরিয়া। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছিল সাটুরিয়ার সদর ইউনিয়ন হরগজ ইউনিয়ন এবং তিল্লি ইউনিয়ন।এ ছাড়াও 2013 সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও 2014সালে নেত্রকোনায় বড় ধরনের টর্নেডোর হয়েছিল। যদি পানির ওপর টর্নেডো তৈরি হয় তবে সেটা বেশি শক্তিশালী হয় না, কিন্তু স্থলে বা পানী ও মাটি মিলে টর্নেডো তৈরি হয় সেটা হয়ে ওঠে অনেক শক্তিশালী, এই টর্নেডো গুলো পানি টেনে নিয়ে উপরে তুলে মেঘ তৈরি করে, পরে আবার সেই পানি বৃষ্টি আকারে ছেড়ে দেয় । অনেক সময় দেখা যায় টর্নেডোর সঙ্গে পানিতে থাকা মাচো উপরে উঠে যায়। পরে সেটা আবার বৃষ্টির সঙ্গে মাটিতে পড়ে। প্রচন্ড গরমের কারণে বিলের পানির উপরের তাপমাত্রা কমে উপরে উঠে যাওয়ার কারণে অনেক সময় টর্নেডো তৈরি হয়। সেই সময় আশেপাশের শীতল বাতাস সেই শূন্যতা পূরণ করতে আসায় একটি ঝড় তৈরি হয়। এভাবে টর্নেডো তৈরি হয়। টর্নেডো সবচেয়ে বেশি দেখা যায় উত্তর আমেরিকা ও আফ্রিকা মহাদেশ এ।
২টি মন্তব্য
ami ai tonedor sakhi hoye silam
ami ai tonedor shakhi hoyesilam
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন