কারক কাকে বলে? কারক চেনার সহজ উপায়।
কারক ও বিভক্তি
কৃ+ণক=কারক। সুতরাং কারক শব্দটি প্রতয় সাধিত। কারক অর্থ –যা ক্রিয়া সম্পাদন করে। বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সাথে নাম পদের যে সম্পরক, তাকে কারক বলে। কারক ছয় প্রকার । যথা –
৩। করণ কারক।
৪। সম্প্রদান কারক
৫। অপাদান কারক
৬। অধিকরণ কারক।
বাক্যস্থিত একতি শব্দের সঙ্গে অন্য শব্দের অন্বয় সাধনের জন্য শব্দের সঙ্গে যে সকল বর্ণ যুক্ত হয় তাদের বিভক্তি বলে। যেমন- ঘরে বসে মা শিশুকে ভাত খাওয়ায়। বিভক্তি দুই প্রকার । যথা –বাংলা শব্দ বিভক্তি এবং ক্রিয়া বিভক্তি। কারকে বাংলা শব্দ বিভক্তি ব্যবহৃত হয়। বাংলা শব্দ বিভক্তি সাত প্রকার। নিম্নে দেখানো হল-
বিভক্তি |
বিভক্তির আকৃতি |
প্রথমা |
০,অ |
দ্বিতীয়া |
কে,রে |
তৃতীয়া |
দ্বারা , দিয়া, কর্তৃক |
চতুর্থী |
কে, রে |
পঞ্চমী |
হইতে,থেকে,হতে ,চেয়ে |
ষষ্ঠী |
র, এর |
সপ্তমী |
এ ,য় ,তে |
কর্ম কারকঃ যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে , তাকে কর্মকারক বলে। যেমনঃবিনা ফুল তোলে।
করণ কারকঃ করণ শব্দের অর্থ যন্ত্র, সহায়ক বা উপায়। ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র ,সহায়ক উপকরণ ও উপায়কে করণ কারক বলে।যেমনঃ সে চাকু দিয়ে কাটে।
সম্প্রদান কারকঃ যাকে স্বত্ব ত্যাগ করে দান, অর্চনা, সাহায্য ইত্যাদি করা হয় তাকে সম্প্রদান কারক বলে । যেমনঃ অসহায় কে সাহায্য কর।
অপাদান কারকঃ যা থেকে কিছু বিচ্যুত , গৃহীত , জাত, বিরত, আরম্ব, দূরীভূত ও রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয় তাকেই অপাদান কারক বলে। যেমনঃ গাছ থেকে পাতা পড়ে। বাঘকে কে না ভয় পায়।
অধিকরণ কারকঃ ক্রিয়া সম্পাদনের কাল ( সময় )এবং আধারকে
(স্থান) অধিকরণ কারক। যেমনঃ রিপন ঢাকায় থাকে। প্রভাতে সূর্য ওঠে।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন