Header Ads

রাসূলের জন্ম তারিখ




রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনি হাশিম বংশে 9 রবিউল আউয়াল সোমবার জন্মগ্রহণ করেন, সে বছরই হাতি যুদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছিল ৷ ইবনে সা'দ-এর বর্ণনায় রয়েছে যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাতা বলেছেন৷ যখন তিনি জন্মগ্রহণ করেন৷  তখন দেহ থেকে একটি নূর বের হল৷ সেই নূর দ্বারা শাম দেশের মহল উজ্জ্বল হয়ে গেল৷  কোন কোন বর্ণনায় উল্লেখ রয়েছে যে,  নবুয়তের পটভূমি হিসেবে রসূলুল্লাহর জন্মের সময় কিছু ঘটনা প্রকাশ পেয়েছিল, কেসরার রাজপ্রসাদেরচৌদ্দটি পিলার ধসে পড়েছিল৷ অগ্নি উপাসকের অগ্নিকুন্ড নিভে গিয়েছিল৷ বহিরার গীর্জা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল৷ এটি ছিল বায়হাকির বর্ণনা৷ কিন্তু মোহাম্মদ গাযযালী এ বর্ণনা সমর্থন করেননি৷  জন্মের পর তার মা দাদা আবদুল মুত্তালিব এর কাছে পৌত্রের জন্মের সুসংবাদ দিলেন৷ তিনি খুব খুশি হলেন এবং সানন্দভাবে তাকে কাবা ঘরে নিয়ে গিয়ে আল্লাহর দরবারে দোয়া এবং শুকরিয়া আদায় করলেন এ সময় তিনি তার নাম রাখলেন মোহাম্মদ এনাম আরবে পরিচিতি ছিল না৷  এরপর আরবের নিয়ম অনুযায়ী সপ্তম দিন খাতনা করলেন৷

মা হালিমার পরিচয় বনি সা'দ গোত্রের অবস্থান


আরবের শহরের নাগরিকদের রীতি ছিল যে, তারা নিজেদের শিশুদের শহরের অসুখ-বিসুখ থেকে ভালো রাখার জন্য দুধ পান করানোর কাজে নিয়োজিত বেদুইন নারীদের কাছে পাঠাতেন৷ এতে শিশুদের দেহ মজবুত এবং হয়ে উঠতো ৷ এছাড়া এর আরেক উদ্দেশ্য হলো সেই দুধ পানের সময় যেন তারা বিশুদ্ধ আরবি ভাষা শিখতে পারে৷  এই রীতি অনুযায়ী আব্দুল মোত্তালিব ধাত্রীর খোঁ করে তার দৌহিত্র কে হালিমা বিনতে আবু জুয়াইরে হাতে হাতে দিলেন ৷  এই মহিলা ছিলেন, বনি সা'দ গোত্রের মানুষ৷  হালিমার উপাধি ছিল শায়মা এই নামেই তিনি বেশি পরিচিত ছিলেন৷  দুধ পান করানোর সময় হযরত হালিমা নবী সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লামের বরকতের এমন ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছিলেন যে, এ বিষয়ে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন৷  তার বিবরণ তার মুখেই শোনা যাক৷ ইবনে ইসাকের বর্ণনামতে হযরত হালিমা বলেন৷ আমি আমার স্বামীর সাথে আমাদের দুগ্ধপোষ্য শিশু সহ সা'দ গোত্রের  কয়েকজন মহিলার সঙ্গে নিজেদের শহর ছেড়ে বের হলাম সেটা ছিল দুর্ভিক্ষের বছর৷ 

চারোদিকে অভাব-অনটন৷ আমি মাদী গাধার পিঠে সওয়ার ছিলাম৷ আমাদের কাছে একটি উটনিও ছিল৷ কিন্তু সেই উনি এক ফোটাও দুধ দিত না৷ ক্ষুধার জ্বালায় দুধের শিশু ছটফট করতো৷ রাতে ঘুমাতে পারতাম না আমার বুকের দুধ ছিলনা ৷ উঠনিও দুধ দিত না৷ বৃষ্টি এবং স্বাচ্ছন্দের অপেক্ষায় আমরা দিন কাটাচ্ছিলাম৷  মাদী গাধার পিঠে সওয়ার হয়ে বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় গাধা এত ধীর গতিতে চলছিল যে, কাফেলা সবাই বিরক্ত হয়ে গেল৷ দুধ পান করানোর জন্য শিশুর সন্ধানে মক্কায় গেলাম৷  আমাদের কাফেলা মহিলা ছিল সকলের কাছে আল্লাহর রাসূলকে গ্রহণ করতে পেশ করা হল৷  কিন্তু পিতৃহীন অর্থাৎ এতিম হওয়ায় সবাই তাকে গ্রহণ করতে স্বীকার করলো৷ একজন বিধবা মা কি আর দিতে পারবে৷  এ কারণেই আমরা কেউ তাকে নিতে রাজি হয়নি৷ 

এদিকে আমাদের কাফেলার প্রত্যেক মহিলা কোনো না কোনো শিশু পেয়ে গেল৷ আমি কোনো শিশুই পেলাম না ৷  ফেরার সময় স্বামীকে বললাম খালি হাতে ফিরে যেতে ভালো লাগছে না৷  আমি বরং এই এতিম শিশুকে নিয়ে যাই৷ স্বামী রাজি হলেন বললেন হয়তো  ওছিলায় আল্লাহ আমাদের বরকত দেবেন ৷ এরপর আমি তাকে গ্রহণ করলা৷  হযরত হালিমা রাদিয়াল্লাহু বললেন শিশুকে নিয়ে আমি যখন ডেরায় ফিরে এলাম তখন আমার উভয় স্তন ছিল দুধে পরিপূর্ন শিশুটি পেট ভরে দুধ পান করলো এবং তার দুধ ও পেট ভরে দুধ পান করলো এরপর উভয়ে স্বস্থির সাথে ঘুমিয়ে পড়লো৷ 

অথচ এর আগে আমার সন্তান ক্ষুধার জ্বালায় ঘুমাতে পারতো না৷ এদিকে আমার স্বামী উটনি দোহন করতে গিয়ে লক্ষ্য করলো তার স্তন-দুটি পরিপূর্ণ তিনি এতদিন করলেন যে আমরা তৃপ্তির সাথে পান করলাম৷ বড় আরামের সাথে রাত কাটালাম৷ আমরা আরামের সাথে রাত কাটালাম৷ সকালে আমার স্বামী বললেন খোদার কসম হালিমা তুমি একটি বরকত সম্পন্ন শিশু গ্রহণ করছো৷ আমি বললাম, আমারও তাই মনে হয়৷ এরপর আমাদের কাফেলা রওনা৷ হল আমি দুর্বল গাধার পিঠে সওয়ার হলাম৷ শিশুটি ছিল আমার কুলে৷ গাধা এত দ্রুত পথ চলছিল যে, সব গাধা কে সে ছাড়িয়ে গেল৷ সঙ্গিনী মহিলারা অবাক হয়ে বললো ও আবু জুবায়ের কন্যা এটা কি আশ্চর্য ব্যাপার আমাদের দিকে একটু তাকাও৷ যে গাধার সওয়ার হয়ে তুমি এসেছিলে এটা কি সেই গাধা৷  আমি বললাম হাঁ সেটিই৷ তারা বলে এর মধ্যে নিশ্চয়ই বিশেষ কোনো ব্যাপার আছে৷ 

কোন মন্তব্য নেই

RBFried থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.