মূর্তিদের সন্তুষ্টি পাওয়ার একটা উপায় তারা এই নির্ধারণ করেছিল যে উৎপাদিত ফসল এবং চতুষ্পদ পশুর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মানত করতো ৷ যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন, তারা তাদের ধারণা অনুসারে বলে, এইসব গবাদিপশু ও শস্যক্ষেত্র নিষিদ্ধ ৷ আমরা যাকে ইচ্ছা করি সে ছাড়া কেউ তা আহার করতে পারবে না না এবং গবাদি পশুর পিঠে আরোহন নিষিদ্ধ করার সময় তারা আল্লাহর নাম নেয় না ৷
এইসব পশুর মধ্যে ছিল বাহিরা সায়েবা ও ওয়াসিলা এবং হাম ৷
ইবনে ইসহাক বলেন বাহিরা
সাইবার কন্যা শাবক কে বলা হয় ৷ সাইবা সেই উটনীকে বলা হয় পর্যায়ক্রমে দশবার মাদি বাচ্চা প্রসব ৷ এর মধ্যে কোন নর বাচ্চা হয়না ৷
এই ধরনের উটনীকে স্বাধীনভাবে ছেড়ে দেওয়া হয় ৷ সেই উটনির সওয়ার হওয়া যায় না। তার পশম কাটা হয় না ৷ মেহমান ছাড়া অন্য কেউ তার দুধ পান করতে পায়না ৷ ১১ বার এর সময় এই ওঠ যে বাচ্চা দেয় সে বাচ্চাকে মায়ের সাথে স্বাধীনভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়
৷ তার পিঠে ও আরোহন করা হয় না ৷ তার পশম কাটা হয় না ৷ মেহমান বাদে কেউ তার দুধ পান করতে পারে না ৷ এই উঠো নি হচ্ছে বাহিরা তার বাচ্চা হচ্ছে সায়েবা
৷
ওয়াসিলা সেই বকরীকে বলা হয়, যে বকরি দুটি করে পর্যায়ক্রমে পাঁচবারে
১০টি বাচ্চা প্রসব করে এর
মধ্যে কোন নর বাচ্চা দেয় না। এই বকরীকে ওয়াসিলা বলার কারণ, যেহেতু তা মাদি
বাচ্চা কে
পরস্পরের সাথে জুড়ে দেয় ৷ এরপর এই বকরি
ষষ্ঠবারে যে বারে যে বাচ্চা প্রসব করে সেই বাচ্চার
গোশত শুধু পুরুষেরা খেতে পারতো, মহিলাদের জন্য তা নিষিদ্ধ, তবে কোন মৃত
বাচ্চা প্রসব করলে সেই বাচ্চা নারী-পুরুষ সবাই খেতে পারে৷
হাম সেই পুরুষ উটকে বলা হয়, যার পাল দেওয়া থেকে পরপর দশটি মাদি বাচ্চা জন্ম নেয়, মাঝে কোন নর বাচ্চা জন্ম না নেয় ৷ এ ধরনের উটের পিঠ সংরক্ষিত রাখা হতো৷ এদের পিঠে কাউকে আরোহণ করতে দেওয়া হতো না ৷ গায়ের পশম কাটা হত না, এই উটকে পালের মধ্যে স্বাধীনভাবে বিচরণের জন্য ছেড়ে দেওয়া হতো
৷ এছাড়া এদের দিয়ে অন্য কোন কাজ ও নেওয়া হতো না, আয়ে মে জালিয়াতের প্রচলিত এসব প্রকারের মূর্তিপূজা এবং রীতিনীতির প্রতিবাদ করে আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেন বাহিরা সায়েবা ও ওয়াসিলা এবং হাম আল্লাহ বানান নি, কিন্তু কাফেররা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে এবং তাদের অধিকাংশই তা উপলব্ধি করে না ৷আল্লাহ তাআলা কুরআনে আরো বলেন, ওরা আরো বলে, এইসব গবাদিপশুর গর্বে
যা রয়েছে তা আমাদের পুরুষদের জন্য নির্দিষ্ট এবং আমাদের স্ত্রীর জন্য অবৈধ, আর তা যদি মৃত হয় তবে নারী-পুরুষ সবাই ওতে অংশীদার
৷ তাদের এরূপ বলার প্রল্ডিল তিনি তাদের দেবেন তিনি প্রজ্ঞাময় ও সর্বজ্ঞ ১৩৯-৬.
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন