Header Ads

তাওবা কাকে বলে? ও তওবার আসল অর্থ কি?

 কি ভাবে তাওবা করলে আল্লাহ কবুল করেন

তওবার আসল অর্থ হচ্ছে ফিরে আসা   বান্দার পক্ষ থেকে তওবার অর্থ হচ্ছে, সেই সীমালংঘন বিদ্রোহের পথ পরিহার করে আল্লাহর দাসত্ব পথে পা বাড়িয়েছে৷ আর আল্লাহর পক্ষ থেকে তওবার অর্থ হচ্ছে, তিনি নিজের লজ্জিত অনুতপ্ত দাসের প্রতি অনুগ্রহ সরকারের দৃষ্টি দিয়েছেন এবং বান্দার প্রতি তার দান পুনর্বার বর্ষিত হতে শুরু করেছে

পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন

গুনাহের ফল অনিবার্য এবং মানুষকে অবশ্যই তা ভোগ করতে হবে, কোরান এই মতবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়| এটা মানুষের মনগড়া ভুল মতবাদ এর মধ্যে একটি বড়ই বিভ্রান্তিকর মতবাদ | কারণ যে ব্যক্তি একবার গুনাহে লিপ্ত হয়েছে মতবাদ তাকে চিরকালের জন্য হতাশার সাগরে নিক্ষেপ করে | একবার নিজের ভুল বুঝতে পেরে ওই ব্যক্তি যদি তার অতীতের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে চায় এবং ভবিষ্যতে সৎ সুন্দর জীবন যাপন করতে আগ্রহী হয়, তাহলে এই মতবাদ তাকে বলে, তোমার বাঁচার কোন আশা নেই,  যা কিছু তুমি করে এসেছ তার ফল অবশ্যই ভোগ করতে হবে|  এর বিপরীতে কোরআন বলে, সৎ কাজের পুরস্কার অসৎ কাজের শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর এখতিয়ারে | তোমরা যে সৎ কাজের পুরস্কার পাও সেটা তোমাদের সৎকাজের স্বাভাবিক ফল নয় সেটা আল্লাহর দান |  তিনি চাইলে দান করতে পারেন, চাইলে নাও করতে পারেন| অনুরূপভাবে তোমরা যে অসৎ কাজের শাস্তি ভোগ করো সেটা তোমাদের অসৎকাজের অনিবার্য ফল নয়, বরং এই ব্যাপারে আল্লাহ ক্ষমতা এখতিয়ার রয়েছে, তিনি চাইলে ক্ষমা করতে এবং চাইলে শাস্তি দিতে পারেন| তবে আল্লাহর অনুগ্রহ রহমত তার জ্ঞানের সাথে গভীর সূত্রে আবদ্ধ হন| তিনি জ্ঞানী হওয়ার কারণে তার ক্ষমতা কর্তৃত্ব অন্ধের মতো ব্যবহার করে না | কোন সৎ মানুষের পুরস্কার দেওয়ার সময় বান্দা আন্তরিকতা সহকারে,  সাচ্চা নিয়তে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে এ সৎ কাজটি করেছে, এই দিকটি বিবেচনা করেই তিনি তাকে পুরস্কৃত করেন| আর কোন সৎ কাজকে প্রত্যাখ্যান করলে জন্যই করেন যে, তার বাইরের রুপটি ছিল ঠিক সৎ কাজের মতই কিন্তু তার ভেতরে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নির্ভেজাল প্রেরণা ভাবধারা কার্যকর ছিল না | 

অনুরূপভাবে বিদ্রোহাত্মক ধৃষ্টতা সহকারে  কোন অসৎ কাজ করা হলে তার পেছনে যদি লজ্জার মনোভাবের পরিবর্তে আরো বেশি অপরাধ করার প্রবণতা সক্রিয় থাকে তাহলে এই ধরনের অপরাধের তিনি শাস্তি দিয়ে থাকেন| আর যে অসৎ কাজ করার পর বান্দা লজ্জিত হয় এবং ভবিষ্যতে নিজেদের নিজে সংশোধনী হয়, এই ধরনের অসৎকাজের ত্রুটি তিনি নিজ অনুগ্রহে ক্ষমা করে দেন | মারাত্মক ধরনের অপরাধী কট্টর কাফেরের জন্য ও আল্লাহর দরবার থেকে নিরাশ হবার কোন কারণ নেই |তবে শর্ত হচ্ছে, সে যদি অপরাধ সে যদি তার অপরাধ স্বীকার করে, নিজের নাফরমানীর জন্য লজ্জিত হয় এবং বিদ্রোহের মনোভাব ত্যাগ করে আনুগত্যের পথে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত হয়,  তাহলে আল্লাহ তার গুনাহ ত্রুটি মাফ করে দেবেন  

কোন মন্তব্য নেই

RBFried থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.