Header Ads

Which team should we make? maleki, hambli, hanafi or Shafi । আমাদের কোন দল করা উচিত? মালেকি,হাম্বলী,হানাফি না শাফি?

 Hold fast to the rope of Allah, and do not be divided. Remember the favor of Allah upon you. You were enemies of each other. He has filled your hearts. As a result, by His grace and grace, you have become brothers. You were standing by the fire. GOD has saved you from it.



সূরা আল-ইমনানের ১০৩ নং আয়াতে মহান আল্লাহ বলেনঃ 

তোমরা সবাই মিলে আল্লাহর রজ্জু মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরো এবং দলাদলি করো না। আল্লাহ তোমাদের প্রতি যে অনুগ্রহ করেছেন সে কথা স্বরণ রেখো। তোমরা ছিলে পরস্পরের শত্রু তিনি তোমদের হৃদয়গুলো জুড়ে দিয়েছেন। ফলে তাঁর অনুগ্রহও মেহেরবানীতে তোমরা ভাই ভাই হয়ে গেছো। তোমরা একটি অগ্নিকুন্ডের  কিনারে দাঁড়িয়ে ছিলে। আল্লাহ সেখান থেকে তোমাদের বাঁচিয়ে নিয়েছেন।

 1. Imam Abu Hanif 2. Imam Shafi 3. Imam Malik 4. Imam Ahmad Ibn Hamble. May Allah Almighty keep everyone in power. All the famous scholars and these four Imams have said that if any fatwa goes against Allah and His Messenger then throw away my fatwa. If we think deeply then we will understand that they did not want to divide us. Their aim was to reach the people with the correct knowledge of the Prophet's Sunnah Hadith and the Qur'an and Hadith.

আল্লাহর রজ্জু বলতে তাঁর দীনকে বুঝানো হয়েছে। আল্লাহর দীনকে রজ্জুর সাথে তুলনা করার কারণ হচ্ছে এই যে, এটিই এমন একটি সম্পর্ক, যা একদিকে আল্লাহর সাথে ইমানদারদের সম্পর্ক জুরে দেয় এবং অন্যদিকে সমস্ত ঈমানদারদেরকে পরস্পরের সাথে মিলিয়ে এক জামায়তব্ধ করে। এই রজ্জুকে মজবুতভঅবে আকড়ে ধরার মানে হচ্ছে, মুসলমানরা ”দীন কেই আসল তগুরুত্বের অধিকারী মনে করবে, তার ব্যাপারেই আগ্রহ পোষণ করেবে, তাকে প্রতিষ্ঠ করার জন্য প্রচেষ্টা চালাবে এবং তারই খেদমত করার জন্য পরস্পরে সাথে সহযোগিতা করবে। যেখানেই মুসলমানারা দীনের মৌলিক শিক্ষা ও দীন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়বে এবং তাদের সমগ্র দৃষ্টি ও আগ্রহ ছোটখাট ও খুঁটিনাটি বিষয়ের প্রতি আকৃষ্ট হবে সেখানেই অনিবার্যভাবে তাদের মধ্যে সে একই প্রকারের দলাদলি ও মতবিরোধ দেখা দেবে, যা ইতি পূর্বে বিভিন্ন নবীর উম্মতদেরকে তাদের আসল জীবন লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করে দুনিয়া ও আখেরাতের লাঞ্ছনার আবর্তে নিক্ষেপ করেছিল।

 

‘ওয়া তাসিমু বি-হাবলিল্লাহি জামীয়াঁও ওয়া-লা তাফাররাকু

এ আয়াতে পারস্বরিক ঐক্যের বিষয়টি অত্যন্ত সাবলীল ও বিজ্ঞজনোচিত ভঙ্গিতে বর্ণিত হয়েছে। অর্থাৎ, এতে সর্বপ্রথম মানুষকে পরস্পর ঐকবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং বিভেদ ও বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করতে নিষেধ করা হয়েছে।

In this verse, the issue of mutual unity has been described in a very fluent and wise manner. That is to say, it first instructed the people to unite with each other and forbade the creation of division and isolation.

ঐক্য উপকারী ও অপরিহার্য হওয়ার ব্যাপারে সবাই একমত হওয়া সত্বেও মানব জাতি বিভিন্ন দল-উপদল ও গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে রয়েছে। এরপর দলের ভেতরে উপদল এবং সংগঠনের ভেতরে উপসংগঠন সৃষ্টি করার এমন এক কার্যধারা অব্যাহত রয়েছে, যাতে সঠিক অর্থে দুই ব্যক্তির ঐক্য কল্প-কাহিনীতে পর্যবসিত হতে চলেছে। সাময়িক স্বার্থের অধীনে কয়েক ব্যক্তি কোন বিষয় ঐক্যবদ্ধ হয়। স্বার্থ উদ্ধার হয়ে গেলে কিংবা স্বর্থোদ্ধারে অকৃতকার্য হলে শুধু তাদের ঐক্যই বিনষ্ট হয় না; বরং পরস্পর শত্রুতা মাথা চাড়া দিয়ে উঠে।

এ কারণে কোরআন পাক শুধু মৈত্রী, একতা, শৃঙ্খলা ও দলবদ্ধ হওয়ার উপদেশই দান করেনি; বরং তা অর্জন করা ও অটুট রাখার জন্যে একটি ন্যায়ানুগ মুলনীতও নির্দেশ করেছে-যা স্বীকার করে নিতে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। মূলনীতিটি এই যে, কোন মানুষের মস্তিস্কনিঃসৃত অথবা কিছুসংখ্যক লোকের রচিত ব্যবস্থা ও পরিকল্পনাকে জনগণের উপর চাপিয়ে দিয়ে তাদের কাছ থেকে এমন আশা করা যে, তারা এতে একতাবদ্ধ হয়ে যাবে- বিবেক ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থী ও আন্তপ্রবঞ্চনা ছাড়া কিছুইনয়। তবে বিশ্ব জাহানের পালনকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত ব্যবস্থা ও পরিকল্পনায় অবশ্যই সব মানুষের একতাবদ্ধ হওয়া স্বাভাবিক; একথা কোন জ্ঞানী ব্যক্তিই নীতিগতভাবে অস্বীকার করেতে পারে না। এখন মতভেদের একটি মাত্র ছিদ্রপথ খোলা থাকতে পারে যে, বিশ্ব জাহানের পালনকর্ত কর্তৃক প্রদত্ত ব্যবস্থা কি এবং কোনটি? ইহুদীরা তাওরাতের ব্যবস্থাকে এবং খ্রীষ্টানরা ইঞ্জীলের ব্যবস্থাকে আল্লাহ্ প্রদত্ত অবশ্যপালনীয় ব্যবস্থা বলে দাবী করে। এমনকি, মুশরিকদের বিভিন্ন দল ও স্ব স্ব ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানকে আল্লাহ্ প্রদত্ত বিধান বলেই দাবী করে থাকে। এ ধরনের মতানৈক্য ও বিভেদকেই কোরআন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। বর্তমানে এ কোরআনী মূলনীতিকে পরিত্যাগ করার কারণেই সমগ্র মুসলিম সমাজ শতধাবিভক্ত হয়ে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে চলেছে। এ বিভেদ মেটানোর অমোঘ ব্যবস্থাই ‘আল্লাহর রজ্জুকে সবাই মিলে সুদৃঢ়ভাবে ধারণ কর এখানে আল্লাহর রজ্জু বলে কোরআনকে বোঝানো হয়েছে।

আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদের রেওয়ায়েতে হুযুর (সাঃ) বলেনঃ কোরআন হল আল্লাহ্ তাআলার রজ্জু যা আসমান থেকে যমীন পর্যন্ত প্রলম্বিত।-( ইবনে কাসীর) যায়েদ ইবনে আরকামের রেওয়ায়েতে রলা হয়েছে ‘আল্লাহর রজ্জু হচ্ছে কোরআন।-(ইবনে কাসীর)

প্রথমতঃ প্রত্যেক মুসলমানের আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত জীবন-ব্যবস্থা কোরআনকে কাজে-কর্মে বাস্তবায়িত করা প্রত্যেক মানুষের জন্যে অবশ্য কর্তব্য। ২য়ঃ সব মুসলমান সম্মিলিতভাবে একে বাস্তবায়িত করবে। এর অনিবার্য ফলস্বরূপ তারা পরস্পর ঐক্যবদ্ধ ও সুশৃংখল জাতিতে পরিণত হবে। উদাহরণতঃ একদল লোক একটি রজ্জুকে ধরে থাকলে তারা সবাই এক দেহে পরিণত হয়ে যাবে।

 

এছাড়া আয়াতে একটি সূক্ষ্ম দৃষ্টান্তও বর্ণিত হয়েছে যে, মুসলমানরা যখন আল্লাহর গ্রন্থ সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে থাকবে, যখন তাদের অবস্থা হবে ঐ ব্যক্তিদের অনুরূপ, যারা কোন উচ্চ স্থানে আরোহণ করার সময় শক্ত রজ্জু ধারণ করে নিশ্চিত পতনের সম্ভাবনা থেকে নিরাপদ থাকে। 

সব মুসলমান সম্মিলিতভাবে একে বাস্তবায়িত করবে। এর অনিবার্য ফলস্বরূপ তারা পরস্পর ঐক্যবদ্ধ ও সুশৃংখল জাতিতে পরিণত হবে। উদাহরণ স্বরূপঃ একদল লোক একটি রজ্জুকে ধরে থাকলে তারা সবাই এক দেহে পরিণত হয়ে যাবে। এছাড়া আয়াতে একটি সূক্ষ্ম দৃষ্টান্তও বর্ণিত হয়েছে যে, মুসলমানরা যখন আল্লাহর গ্রন্থকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে থাকবে, তখন তাদের অবস্থা হবে ঐ ব্যক্তিদের মতন, যারা কোন উচ্চ স্থানে আরোহণ করার সময় শক্ত রজ্জু ধারণ করে নিশ্চিত পতনের সম্ভাবনা থেকে নিরাপদ থাকে। সুতরাং আয়াতে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, সবাই মিলে কোরআনকে শক্তরূপে ধারণ করে থাকলে শয়তান তার কোন অনিষ্ট সাধনে সক্ষম হবে না এবং ব্যক্তিগত জীবনের মত মুসলিম জাতির শক্তিও সুদৃঢ় ও অজেয় হয়ে যাবে। বলা বাহুল্য, কোরআনকে আঁকরে থাকলেই ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত শক্তি একত্রিত হয় এবং মরণোস্মুখ জাতি নবজীবন লাভ করে। পক্ষান্তরে কোরআন থেকে সরে থাকলে জাতীয় ও দলগত জীবনে যেমন বিপর্যয় নেমে আসে, তেমনি ব্যক্তিগত জীবনও সুখকর হয় না।

 

ঐক্য একমাত্র ইসলামের ভিক্তিতেই সম্ভবঃ

ঐক্যের বিশেষ একটি কেন্দ্র বা ভিত্তি থাকা অত্যাবশ্যক। এ সম্পর্কে বিভিন্ন জাতির বিভিন্ন মত ও পথ রয়েছে। কোথাও বংশগত, কোথাও বর্ণগত, কোথাও দেশগত ও ভাষাগত একত্বকে কেন্দ্রবিন্দু মনে করা হয়েছে। কোরআন এগুলোকে বাদ দিয়ে ঐক্যের কেন্দ্রবিন্দু ‘হাবলুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ, প্রেরিত মজবুত জীবন-ব্যবস্থাকে সাব্যস্ত করেছে এবং দৃপ্তকন্ঠে ঘোষণা করছে যে, আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসীরা সাবাই মিলে এক জাতি যারা আল্লাহ রজ্জুর সাথে জড়িত এবং কাফেররা ভিন্ন জাতি-যারা এ শক্ত রজ্জুর সাথে জড়িত নয়।

মোটকথা,

আলোচ্য আয়াতে মুসলমানদিগকে দুটি নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রথমঃ আল্লাহর দেয়া জীবন-ব্যবস্থা গ্রহণ করা। দ্বিতীয়ঃ সবাই মিলে শক্তভাবে এ জীবন-ব্যবস্থা ধারণ কর, যাতে মুসলিম সম্প্রদায়ের সুশৃঙ্খল ঐক্যবন্ধন স্বাভাবিক ভাবেই প্রতিষ্টিত হয়ে যায়। মুসলমানদের পারস্পরিক ঐক্যের ধনাত্মক দিক ফুটিয়ে তোলার পর বলা হয়েছে (ওলাতাফারাকু) পরস্পর বিভেদ সৃষ্টি করো না। কুরআন পাকের বিজ্ঞজনোচিত বর্ণনাভঙ্গি এই যে, যেখানে ধনাত্মক দিক ফুটিয়ে তোলা হয়, সেখানেই ঋণাত্মক দিক উল্লেখ করে বিপরীত রাস্তায় অগ্রসর হওয়া থেকে বারণ করা হয়। এছাড়া কোরআন বিভিন্ন পয়গম্বরের উম্মতদের ঘটনাবলী বর্ণনা করে দেখিয়েছে যে, তারা কভিাবে পাস্পরিক মতবিরোধ ও অনৈক্যের কারণ জীবনের উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে ইহলৌকিক ও পরলৌকিক লাঞ্ছনায় পতিত হয়েছে।

নবী করীম (সাঃ) বলেন মহান আল্লাহ তোমাদের জন্য তিনটি বিষয় পছন্দ করেছেন এবং তিনটি বিষয় অপছন্দ করেছেন।

পছন্দনীয় বিষয়।



১. তোমরা আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তাঁর সাথে কাউকে অংশীদার করবে না।

২. কোরআনকে সুদৃঢ়ভাবে ধারণ করবে এবং অনৈক্য থেকে বেঁচে থাকবে।

৩. শাসনকর্তাদের প্রতি শুভেচ্ছার মনোভাব পোষণ করবে।

অপছন্দনীয় বিষয়ঃ

১. অনাবশ্যক কথাবার্তা ও বিতর্ক অনুষ্ঠান।

২. বিনা প্রয়োজনে কারও কাছে ভিক্ষা চাওয়া।

৩. সম্পদ বিনষ্ট করা।

এখন প্রশ্ন এই যে, প্রত্যেক মতভেদই কি নিন্দনীয় এবং মতভেদের কোন দিকই কি অনিন্দনীয় নেই? 

উত্তর এই যে, প্রত্যেক মতভেদই নিন্দনীয় নয়। বরং যে মতভেদে প্রবৃত্তির তাড়নার ভিত্তিতে কোরআনের নির্ধারিত সীমার ভেতরে থেকে রসুলুল্লাহ্ (সাঃ) এর ব্যাখ্যা স্বীকর করে নিজের যোগ্যতা ও মেধার আলোকে শাখা-প্রশাখায় মতভেদ করা হয়, তবে সে মতভেদ অস্বাভাবিক নয়, ইসলাম তা নিষেধও করে না। সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন এবং ফেকাহ্বিদ আলেমগণের মধ্যকার মতভেদ ছিল এমনি ধরনের। এমন মতভেদকে রহমত বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। অবশ্য যদি এসব শাখা বিষয়কেই দ্বীনের মূল সাব্যস্ত করা হয়, তবে তাও নিন্দনীয়।

আল্লাহ সূরা আল-আনামের ১৫৯ নং আয়াতে বলেনঃ-


যারা নিজেদের দীনকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে (হে রাসূল) নিশ্চয়ই তাদের সাথে তোমার কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের ব্যপারটি আল্লাহর ওপর ন্যস্ত রয়েছে। তারা কি করেছে, সে কথা তিনিই তাদের জানাবেন। সূরা আনাম-১৫৯

এখানে নবী (সাঃ) এর মাধ্যমে আল্লাহর সত্য দীনের অনুসারীকে সম্বোধন করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহর বক্তব্যের সারনির্যাস হচ্ছে, এক আল্লাহকে ইলাহ ও রব বলে মেনে নাও। আল্লাহর সত্তা, গুণবলী, ক্ষমতা-এখতিরয়ার ও অধিকারে কাইকে শরীক করো না। আল্লাহর সামনে নিজেকে জবাবদিহি করতে হবে মনে করে আখেরাতের প্রতি ঈমান আনো। আল্লাহ তাঁর রসূলদের ও কিতাবসমূহের মাধ্যমে যে ব্যাপক মূলনীতি ও মৌল বিষয়ের শিক্ষা দিয়েছেন সে অনুযায়ী জীবন যাপন করো। এগুলোই চিরকাল আসল দীন হিসেবে বিবেচিত হয়ে এসেছে এবং এখনো যথার্থ দীন বলতে এগুলোকেই বুঝায়। জন্মের প্রথম দিন থেকে প্রত্যেক মানুষকে এ দীনই দেয়া হয়েছিলো। পরবর্তীকালে বিভিন্ন যুগের লোকেরা তাদের নিজস্ব চিন্তা ও মানসিকতার ভ্রান্ত উদ্ভাবনী ক্ষমতার সাহায্যে অথবা নিজেদের প্রবৃত্তি ও লালসার মাত্রাতিরিক্ত প্রভাবে বা ভক্তির আতিশয্যে এ আসল দীনকে বিকৃত করে বিভিন্ন প্রকার ধর্মের সৃষ্টি করেছে। এ দীনের মধ্যে তারা নতুন নতুন কথা মিশিয়ে দিয়েছেন। নিজেদের কুসংস্কার, কল্পনা, বিলাসিতা, আন্দাজ-অনুমান ও নিজেদের দার্শনিক চিন্তা-ভাবনার ছাঁচে ফেলে তার আকীদা-বিশ্বাসের ব্যাপক পরিবর্তন সাধান করেছে এবং কাট-ছাঁট-এর মাধ্যমে তাকে পুরোপুরি বিকৃত করে দিয়েছে। অনেক নতুন বিষয় উদ্ভাবন করে তার বিধানসমূহের সাথে জুড়ে দিয়েছে। মনগড়া আইন রচনা করেছে। আইনের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো নিয়ে অযথা চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছে। ছোটখাটো বিষয়গুলো নিয়ে মতবিরোধ করার ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করেছে। গুরুত্বপূর্ণকে গুরুত্বহীন ও গুরুত্বহীনকে গুরুত্বপূর্ণ বানিয়ে দিয়েছে। যেসব নবী-রসূল এ দীন প্রচার করেছেন এবং যেসব মহান মনীষী ও বুযর্গ এ দীনের প্রতিষ্ঠায় জীবনপাত করে গেছেন তাদের কারো কারো প্রতি ভক্তি ও শ্রদ্ধা প্রকাশের ক্ষেত্রে অত্যাধিক বাড়াবাড়ি করেছে আবার কারো কারো প্রতি ঘূনা-বিদ্বেষের প্রকাশ ঘটিয়েছে এবং তাদের বিরোধিতা করেছে। এভাবে অসংখ্য ধর্ম ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উদ্ভব ঘটে চলেছে। এদের প্রতিটি ধর্ম ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উদ্ভব মানব সমাজকে কলহ বিবাদ ও পারস্পরিক সংঘর্ষে লিপ্ত করেছে। এভাবে মানব সমাজ দ্বন্দ্বমুখর দলে-উপদলে বিভক্ত হয়ে চলেছে। কাজেই বর্তমানে যে ব্যক্তিই আসল দীনের অনুসারী হবে, তার জন্য এসব বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায় ও দলাদলি থেকে আলাদ হয়ে যাওয়া এবং তাদের থেকে নিজেদের পথকে আলাদা করে নেয়াই হবে অপরিহার্য।

ইসলামে ভিন্ন দল তৈরি করা নিষিদ্ধ। এটা হারাম। কিন্তু মুসল মান দের প্রশন্ন করা হলে তারা বলে, আমি হানাফি, আমি শাফি, আমি মালেকি, আমি ওয়াবী, নবীজি এবং সাহাবী গণ কি ছিলেন?  



সূরা আল-ইমরানের ৫২ নং আয়াতে উল্লেক্ষ্য রয়েছেঃ- 



যখন ঈসা অনুভব করলো, বনী ইসরাঈল কুফরী ও অস্বীকার করতে উদ্যোগী হয়েছে, সে বললোঃ “কে হবে আল্লাহর পথে আমার সাহায্যকালী?” হাওয়ারীগণ বললো “আমরা আল্লাহর সাহায্যকারী। আমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি। সাক্ষী থাকো, আমরা মুসলিম (আল্লাহর সামনে আনুগত্যের শির নতকারী)।
হাওয়ারী শব্দটি এখানে ‘আনসার’ শব্দের আছাকাছি অর্থ বহন করে। বাইবেলে সাধারণভাবে হাওয়ারীর পরিবর্তে ‘শিষ্যবৃন্দ’ শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে।

সূরা আল-ইমরানের ৬৭ নাম্বার আয়াতে আল্লা বলেন ইবরাহীম (আঃ) তিনিউ মুসলিম ছিলেন।


ইবরাহীম ইহুদী ছিল না, খৃস্টানও ছিল না বরং সে তো ছিল একজন একনিষ্ঠ মুসলিম এবং সে কখনো মুশরিকদের অন্তরভুক্ত ছিল না। সূরা আল ইমরান-৬৭

আসলে এখানে ‘হানীফ’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। এর অর্থ হয় এমন ব্যক্তি যে সবদিক থেকে মূখ ফিরিয়ে নিয়ে একটি বিশেষ পথে চলে। এ অর্থটিকেই তাফসির কারকরা ‘একনিষ্ঠ মুসলিম শব্দের মধ্যে আনার চেষ্টা করেছে।

সূরা ফুসিলাতের/হা-মীম-সাজদাহ-৩৩ নং আয়াতে উল্লেক্ষ আছে


সেই ব্যক্তির কথার চেয়ে আর কার কথা অধিক উত্তম হবে যে আল্লাহর দিকে ডাকলো, সৎকাজ করলো এবং ঘোষণা করলো আমি সুমলমান।


আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ছিলেন মুসলমান। আমরা হব মুসলমান। মুসলমানের চেয়ে ভাল কোন বিশেষণ আর নেই। চার জন বিখ্যাত ইমাম।

১। ইমাম আবু হানিফ ২। ইমাম শাফি ৩। ইমাম মালেক ৪। ইমাম আহাম্মদ ইবনে হাম্বল। মহান আল্লাহ সবাইকে শাক্তিতে রাক্ষুক। সবাই বিখ্যাত পন্ডিত আর এই চার জন ইমামই বলেছেন যদি কোন ফতুয়া আল্লাহ ও তার রাসূলের বিরুদ্ধে যায় তাহলে আমার ফতুয়াকে ছুরে ফেলে দাও যদি আমরা গভীরভাবে চিন্তা করি তাহলে আমরা বুঝতে পারি যে তারা আমাদের বিভক্ত করতে চায়নি তারা চেয়েছিলেন যে মানুষ যেন মূল গ্রন্থ গুলো পড়ে কুরআন এবং নবীর সুন্নাহ হাদীস এবং কোরআন ও হাদিসের সঠিক জ্ঞান সাথে মানুষের কাছে পৌঁছায় এটি ছিল তাদের উদ্দেশ্য । 


তবে অনেক মুসলমান বলে মুসলিমদের মধ্যে 73 টি দল হবে এটা আছে তীরজমির 171 নম্বর হাদিস এখানে নবীজি বলেছেন ভবিষ্যতে 73 টা ভাগ তৈরি হবে বাক করা উচিত সেটা তিনি বলেন নি প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে জানতেন যে মহান আল্লাহ এটি নিষিদ্ধ করেছেন, তাই আমাদের মানা উচিত মহান আল্লাহ ও তাঁর রসূল এবং নিজেদেরকে ডাকা উচিত আমরা মুসলিম



কোন মাযহাব কে ছোট করে দেখা উচিত নয় কারণ তারা মহাজ্ঞানী এবং প্রত্যেকের মতামতগুলো আমাদের ফলো করা উচিত





কোন মন্তব্য নেই

RBFried থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.