স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক কেমন হবে।
Where is my happiness?
Allah the Almighty has said in the Holy Qur'an that in the life of attaining "happiness in women", woman and man are the garments of perfection. She is a woman who can breathe a sigh of relief in the midst of hundreds of sorrows, pains and perils. She is the man's beloved wife.
মহান আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, যে ‘’নারীতেই সুখ’’ প্রাপ্তির জীবনে স্ত্রী পুরুষের পূর্ণতার পোশাক । শত দুঃখ বেদনা, বিপদে আপদে যার কোলে মাথা রেখে প্রশান্তির নিঃশ্বাস নিশ্চিন্তে নেওয়া যায়, সে তো একজন নারী। সেতো পুরুষের প্রিয়তমা স্ত্রী।
একজন চরিত্রবান স্ত্রীর দাঁড়ায়, একজন পুরুষের জীবনকে রাঙ্গিয়ে তুলতে এবং সুখ শান্তিতে মাতিয়ে রাখা সম্ভব। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য, আমাদের এই সামাজিক অবকাঠামোর মধ্যে অনেক দম্পতি অশান্তি তে জীবন অতিবাহিত করছে। একটি পরিবারের তখনই সুখ শান্তি বিরাজমান থাকে, যখন কোন পুরুষ তার স্ত্রীর কাজকে সম্মান ও স্বীকৃতি দেয়। প্রশংসা করে এবং তার কাজ কে ভালবাসে, ও তার কাজের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে। নিজের দ্বারা যতটুকু সম্ভব স্ত্রীর কাজে সহযোগিতা করে।
প্রচন্ড শীতের সকালে কিংবা গরমে সবার আগে বিছানা ত্যাগ করতে হয় এই স্ত্রীকেই, তার জীবনটা যেন কর্মব্যস্ত স্বামীর কাজে সহযোগিতা ও তার সন্তান-সন্ততির প্রস্তুতিতে। আবার সমস্ত কাজকর্ম শেষ করে ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত শরীর নিয়ে ঘুমাতে যান সকলের পড়ে। সাংসারিক জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ কাজে আমাদের সমাজের পুরুষদের অংশটুকু খুবই নগণ্য যা গোনার বাহিরে। যদিও তা কারও কারও ক্ষেত্রে ভিন্ন রকম হতে পারে।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনে রয়েছে স্ত্রীকে সহযোগিতা করার এক অনুকরণীয় আদর্শ। পবিত্র হাদীসে এসেছে, হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু কে জিজ্ঞাসা করা হল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে কি কাজ করতেন? উত্তরে মা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরের মানুষদের সেবা, বিভিন্ন কাজে অংশ নিতেন সহি বুখারী।
আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী বলেন, উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ হাতে তার কাপড় সেলাই করতেন; নিজের জুতা মেরামত করতেন এবং সাংসারিক যাবতীয় কাজে অংশগ্রহণ করতেন।
পারিবারিক জীবনে স্ত্রীদের কাজে সহযোগিতা করা হলো বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত।স্বামীরা সাধারণত ঘরের বাইরে অফিস-আদালত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হাল চাষ কৃষিকাজ সবজি চাষ বিভিন্ন ফরম ফার্ম অথবা বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান কাজে নিয়োজিত থাকেন। তাই একজন স্ত্রীকে স্বামীর যাবতীয় কর্মব্যস্ত কাজে সামান্য 10 থেকে 20 মিনিটের অংশগ্রহণেই সংসারে জান্নাত এনে দিতে পারে। স্ত্রীর মন আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে উঠতে পারে। পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে সংসারের পরিচিত রূপ। এরকম করলে একটি সংসারে অশান্তি পালিয়ে জান্নাতের পরশ ঘরে প্রবেশ করবে ইনশাল্লাহ। প্রেম ভালোবাসা মায়া মমতার বন্ধন সুদৃঢ় থেকে সুদৃঢ় হয় । তিক্ততা পূর্ণ সম্পর্কেও সেতুবন্ধন তৈরি হয়। এজন্যই সব স্বামীর উচিত, স্ত্রী যে ঘরে নিভৃতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে মৌখিক ভাবে তার স্বীকৃতি এবং কাজের প্রশংসা ও এর পাশাপাশি সামান্য পরিমাণে হলেও সহযোগিতা করা। তবেই না পারিবারিক দাম্পত্য জীবনে শান্তির পরশ, সুখের নদী চলমান থাকবে।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন