Header Ads

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা।স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা বৃদ্ধির দোয়া

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা।

আসসালামু আলাইকুম স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা পোস্টে আপনাদের জানাই স্বাগত। এই আর্টিকেলটিতে স্বামী স্ত্রীর ভালবাসা কেমন হওয়া উচিত এই সম্পর্কে সামান্য কিছু আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। 

স্বামী স্ত্রীরসম্পর্কের সৌন্দর্যের চেয়ে ভালো কিছু এই জগতে আর নেই।  মহান আল্লাহ তাআলা স্বামী স্ত্রী সম্পর্ক প্রথম তৈরি করেছেন।  স্বামী স্ত্রী একে অপরের পরিপূরক। একজন স্বামীর কাছে তার স্ত্রী আমানত এবং স্ত্রীর কাছে তার স্বামী জান্নাত।  একজন পুরুষের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান তার স্ত্রী। স্বামী স্ত্রী উভয়ের ভালোবাসার ফলে পৃথিবীতে সুখ ও শান্তিময় জীবন যাপন করা সম্ভব। তাই একজন মানুষের জীবনকে সুন্দর ও ও সুখময় করে তুলতে একজন ভালো জীবনসঙ্গীর গুরুত্ব অপরিসীম।  একজন স্বামীর দায়িত্ব তার স্ত্রীর সুখ স্বাচ্ছন্দের প্রতি যত্ন নেওয়ার কারণ তিনি আপনি ব্যতীত কাউকে কিছু বলতে পারেনা।  আবার একজন স্ত্রীর ও দায়িত্ব তার স্বামীকে খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখা। 

যদি আপনি স্ত্রীকে ভালোবেসে আদর করেন,  তবে স্ত্রী আপনার জীবনকে স্বর্গে পরিণত করে তুলবে।  স্বামী স্ত্রী একে অপরের ছায়া।  একজন ছাড়া অপরজন একাকীত্ব হয়ে পড়ে।  স্বামী যখন তার স্ত্রীকে বাস্তবে ভালবাসে ওই স্ত্রী তখন বাবা-মায়ের চেয়ে স্বামীর খ্যাতিকে বেশি মর্যাদা দেয়।  স্বামী স্ত্রী একজন অপরজনের পোশাক। একজন স্ত্রীর কাছে তার স্বামী হল তার সবচেয়ে বড় এবং মূল্যবান গয়না।  স্বামী স্ত্রী একে অপরের ভালোবাসার সাথে দেখলে মহান আল্লাহ তা'আলা খুশি হন। কারণ বিবাহ একটি বন্ধন পবিত্র সম্পর্ক।  একজন স্বামীর কাছে তার স্ত্রী এবং একজন স্ত্রীর কাছে তার স্বামীর চাইতে ভালো বন্ধু আর কেউ হতে পারে না।

আরো জানতে> মিলনের সময় নারীর করনীয়

পুরুষরা তার স্ত্রী ও পরিবারের মধ্যে একটি সেতু হিসেবে কাজ করে সেতু যদি দুর্বল হয়ে যায় তবে সমস্ত সম্পর্ক দুর্বল হয়ে পড়ে।  সর্বোত্তম স্ত্রী হলো সেই ব্যক্তি যিনি স্বামীর মর্যাদা মেনে ব্যয় করেন।  স্বামী তার স্ত্রী নিকট এতটাই ভালো হওয়া প্রয়োজন যেন স্ত্রী তার জন্য প্রার্থনা করে।  স্বামী তার স্ত্রীকে অবশ্যই প্রশংসা করা উচিত কারণ এই অনুভূতি স্ত্রীর জন্য মূল্যবান সম্পত্তির চেয়ে কম নয়।  আপনার স্ত্রী অসুস্থ হলে সুস্থ করার দায়িত্ব আপনার।  কারণ সে আপনার আমানত।  স্ত্রিকে কখনো অবহেলা করবেন না।  আপনার স্ত্রী কষ্ট পাবে এমন কোন কাজ আপনি করবেন না এটা মোটেও করা উচিত নয়। 

অল্পতে অভিমান করা মেয়েদের স্বভাব।  রাগ করা আপনার স্ত্রীর অধিকার আর রাগ ভাঙানো আপনার স্বামীর দায়িত্ব। কিছু করতে না পারেন ভালোবাসা দিয়ে হৃদয়ের রানী বানিয়ে রাখেন।  তবে আপনার স্ত্রীকে প্রাসাদ হিসেবে বিবেচিত করবে।  স্ত্রীকে আপনার পিতামাতা কে সম্মান করানোর জন্য আপনি আগে স্ত্রীর পিতা-মাতাকে সম্মান করুন।  তাহলে আপনাকে দেখে সেও আপনার মা-বাবাকে শ্রদ্ধা করবে। 

বুদ্ধিমান স্ত্রী কখনোই স্বামীর সাথে রেগে উচ্চকণ্ঠে কথা বলবে না।  কারণ স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক কোন প্রতিযোগিতা নয়, একটি প্রেমের সম্পর্ক।  দুজন যদি নিজের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু করে তবে সুখী হওয়া কখনোই সম্ভব নয়।  ভালো স্বামী স্ত্রীর কখনোই একে অপরের আবেগ নিয়ে খেলে না।  তাই একজনের অনুপস্থিতিতে অপর্জন অস্থির।  ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল দম্পতিরা

স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা বৃদ্ধির দোয়া ও আমল

১। পবিত্র কুরআনের মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন। رَبَّنَا هَبۡ لَنَا مِنۡ اَزۡوَاجِنَا وَ ذُرِّیّٰتِنَا قُرَّۃَ اَعۡیُنٍ وَّ اجۡعَلۡنَا لِلۡمُتَّقِیۡنَ اِمَامًا

আরবি উচ্চারণঃ রব্বানা হাবলা না মিন আজওয়া জিনা ওয়া জুর রিয়াতিনা কুররাতা আইউনি ওয়াস আলনা নীল মুত্তাকিনা ইমামা।

অর্থ: হে আমাদের রব! আমাদের নিজেদের স্ত্রীদের ও নিজেদের সন্তানদের চোখ শীতলকারী বানাও এবং আমাদেরকে মুত্তাকিদের ইমাম বানিয়ে দাও

২। মহান আল্লাহ তায়ালার আনুগত্য করা। তাকওয়া অবলম্বন করা।

৩। সুন্দরভাবে বসবাস করা। সঙ্গীর সাথে সুন্দর ব্যবহার করতে হবে। খারাপ ব্যবহারের বিপরীতে খারাপ ব্যবহার করা যাবে না।

৪। স্বামী স্ত্রী উভয়ের মধ্যে বেশি বেশি সালাম দেওয়া ও উপহার বিনিময় করা। বৈধ ব্যক্তিদের সাথে ভালোবাসার বৃদ্ধি করার সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মাধ্যম হচ্ছে সালাম বিনিময় করা।

৫। গুনা থেকে বিরত থাকা।  যেখানে পাপের বিস্তার সেখান থেকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর রহমতকে উঠিয়ে নেন।  তাই স্বামী স্ত্রী উভয়কেই পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে তাহলেই ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে ইনশাল্লাহ।

৬। বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা ও ইস্তেগফার পাঠ করা।

1 টি মন্তব্য

নামহীন বলেছেন...

It will be very useful sir

RBFried থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.