Header Ads

ওষুধ সেবন ছাড়াই মাথা ব্যাথা দূর করার উপায়

মাথা ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা

মাথাব্যথা একটা যন্ত্রনা দায়ক বিষয়, আবহাওয়ার সামান্য পরিমাণ পরিবর্তন হলে কিংবা কাজের চাপে অল্পতেই অনেকের মাথা ধরে যায়। কাজের ব্যস্ততায় বিশ্রাম নেয়ার মত অবকাশ টুকু থাকে না। খুব একটা তাই মাথা ব্যথা করলে ঘুমানোর ফুসরত সময়টুকু অনেকের মিলে না। দিনভর এমন অসহ্যকর ব্যথা নিয়ে কাজে কর্মে লিপ্ত থাকাটাও একটা অস্বস্তিকর, আবার মাথা ব্যথার সব ধরনের ওষুধ সেবন করা উচিত না এতে অল্প বিস্তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে যা শরীরের উপর দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে তবে কিছু ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে আপনি এমন অসহ্যকর মাথা ব্যথা দূর করতে পারেন এমন ঘরোয়া পদ্ধতি  আপনাকে খুব দ্রুত মাথা ব্যথা দূর করতে সাহায্য করবে।

 

মাথা ব্যাথা হলে করণীয়

তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নিয়া যাক কিভাবে ঘরোয়া চিকিৎসায় মাথা ব্যথা দূর করা যায়। সাকিং বা কফির সে বনে আপনার মাথাব্যথা যন্ত্রণা কিছুটা হলেও কমতে পারে কারণ চা কিংবা কফিতে থাকে ক্যাফেইন যা মাথার যন্ত্রণা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। চার সঙ্গে আদা লবঙ্গ এবং মধু মিশ্রিত করে খেলে মাথা ব্যথায় আরাম পাওয়া যায়। তেল ম্যাসাজ তীব্র ব্যথায় আপনি লেভেন্ডার তেল দিয়ে মেসেজ করলে আপনার মাথার যন্ত্রণায় অনেক আরাম পাবেন। 

মাথা ব্যাথায় আদার রস

আদা মাথার রক্ত প্রণালীর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এতে মাথাব্যথা অনেক কমে যায় সমপরিমাণ আদার রস ও লেবুর রস মিশিয়ে দিনে দুই থেকে তিনবার খেতে পারেন মাথাব্যথা কমে যাবে। এছাড়া আপনি এক চা চামচ শুকনো আদার গুরু ২ টি টেবিল চামচ পানির মধ্যে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এটি কয়েক মিনিটের জন্য কপালে লাগিয়ে রাখুন দেখবেন মাথা ব্যথা কমবে এছাড়া মাথাব্যথায় দুই টুকরা আদার কেন্দ্রীয় হতে পারেন তাতেও অনেক উপকার পাবেন।

মাথা ব্যাথায় পুদিনা পাতা

পুদিনা পাতায় রয়েছে মেন্থল ও মেন্থন এই উপাদান গুলো মাথাব্যথা দূর করার জন্য খুবই কার্যকরী। পুদিনা পাতার রস সেবন করলে অথবা পুদিনা পাতার রস কপালে মাখলেও মাথার যন্ত্রণা অনেক কমে যায়।

মাথা ব্যাথায় বরফের প্যাক

প্রদাহ দূর করার পাশাপাশি মাথাব্যথার উপশম করে বরফের পেট বরফের ব্যাগ ঘাড়ে দিলে এতে মাইগ্রেনের ব্যথা অনেক কমে যায় তাছাড়া একটু করে বরফের পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর মাথায় পাঁচ মিনিট রাখলে মাথার ব্যথা দূর হবে তবে ঠান্ডার সমস্যা থাকলে এটা না করাই ভালো। এছাড়া আপনি প্রচন্ড মাথা ব্যথায় গোসল করে নিতে পারেন। 

মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ

কনস্ট্যান্ট হেডার্স মাথাব্যথা এক জটিল সমস্যা। মাথাব্যথায় ভোগেন নাই এমন মানুষ খুব কমই রয়েছে, প্রতিনিয়ত মাথা ব্যথা হলে প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই সাবধান হতে হবে,  কারণ এর পেছনে কোন গুরুত্ব পূর্ণ রূগ থাকতে পারে, মাথা ব্যথা অনেক ধরনের হয়ে থাকে যেমন টেনশন হেডেক মাইগ্রেন কাস্টার হেডেক ইত্যাদি। মাথাব্যথা প্রায় সকলেরই হয়ে থাকে। মাথাব্যথা এমন কোন লক্ষণ রয়েছে যেগুলো অবহেলা করা মোটেই উচিত নয়। মাথাব্যথার যেসব উপসর্গ দেখা দিলে আপনি খুব বেশি গুরুত্ব দিবেন যেমন

ডাবল ভিশন বা কোন বস্তু দুইবার দেখা চোখ দিয়ে পানি পড়া জর বা অধিক ঘাম হওয়া বমি হওয়া ক্লান্তি আশা। কথায় জড়তা আসা ব্যাথা নাশক ওষুধ খাওয়ার পর ও ব্যথা না কমা তিনদিনের মধ্যে পুনরায় ব্যথা শুরু হওয়া এসব লক্ষণগুলো জেনে নেয়া যাক। 

টেনশন হেডেকঃ টেনশন হেডেকের কারণে মাথা ব্যথা হলে সমস্ত মাথা জুড়ে হয় মাথা ভারী ভারী লাগে মনে হবে কেউ যেন মাথাটা ধরে আছে।

কাস্টার হেডেকঃ দিনের নির্ধারিত একটা সময় বা বছরের কোন নির্দিষ্ট সময়ে এই ব্যথা হয়ে থাকে চোখের পিছনের দিক থেকে মাথার একটি দিক বরাবর যন্ত্রণা করে।

মাইগ্রেনঃ  মাথার যেকোনো দিক থেকে ব্যথা হতে পারে এ কে আধ কপালি ব্যথা ও বলা হয়। মাইগ্রেনের ব্যথা ধবধব করতে থাকে খুব অল্প সময়ে ব্যথা পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়ে এছাড়াও এ ব্যথা চোখের চারপাশেও হতে পারে।

ব্রেন টিউমারঃ  মাথার ডান পাশের টেম্পোরাল লুবে টিউমার হলে সেই অংশটাতে ব্যথা হয়। টিউমার যেদিকেই হবে সেদিকে ব্যথা হয় ট্রিমার ছোট থাকলে সমস্যা হয় না কিন্তু বড় হলে অনেক যন্ত্রণা হয় মাথার সমস্যা অনেক বেড়ে যায় এরকম টি হলে আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই

RBFried থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.